রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ইসলামে বিয়ে ও আকিকা


প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৯:০২

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৪

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে। কেননা তা চোখকে অবনত রাখে আর লজ্জাস্তানকে হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি তাতে অক্ষম, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা যৌনশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে।’ বুখারি, মুসলিম।

আরেকটি বর্ণনায় হজরত আনাস (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করল তখন সে নিশ্চয়ই দীনের অর্ধেক কাজ সম্পূর্ণ করল। অতএব তার উচিত বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করা।’ বায়হাকি।

উল্লিখিত হাদিস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, দেরিতে বিয়ে করা ভালো নয়। সাধ্য থাকলে পিতা-মাতার উচিত উপযুক্ত বয়স হলেই সন্তানের বিয়ে দেওয়া। তাতে পিতা-মাতার দায়িত্বও পালন হবে আবার সন্তানও জেনা-ব্যভিচার থেকে বিরত থাকবে। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘ইমাম হাসান (রা.)-এর জন্মগ্রহণের পর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডান কানে আজান ও বাঁ কানে ইকামত দিয়েছিলেন এবং তারপর থেকে দুটি বকরি আকিকা করেছিলেন।’ 

অন্য এক হাদিসে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পিতা-মাতার দায়িত্ব হলো শিশু জন্মের সপ্তম দিনে শিশুর নাম রাখা, মাথার চুল কেটে ফেলা ও আকিকা করা।’ হাদিসের ভাষ্যমতে, ওই আমলগুলো করা হলে মুসলিম শিশু জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নানাবিধ বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাবে। সন্তান ভালো হবে, ধার্মিক হবে। আল্লাহ আমাদের তাঁর দীন সঠিকভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন।

লেখক : গাজী মো. মোহেব্বুল্লাহ সিদ্দীকি, খতিব, বায়তুল আজম জামে মসজিদ পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top