রাজশাহী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার দেড় কোটি টাকা


প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:৪৬

আপডেট:
২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:০৬

টাকা গণনার কাজ চলছে

তিন মাস ১৩ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার দানবাক্স খুলে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে সোনা, রূপা, ডলার ও রিয়ালসহ বৈদেশিক মুদ্রা।


শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। বিকেলে গণনা শেষে দানের এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর আল কামাহ্ তমাল, নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দীন ভূঞাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, সাধারণত তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস ১৩ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা টাকা পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, এই মসজিদে যখন দানবাক্সগুলো খোলা হয়, তখন সাধারণত এক কোটি টাকার মতো পাওয়া যায়। এবার দেড় কোটি টাকার উপরে পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদিপশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ জুলাই মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় ২৫০ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদরাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

 

আরপি/এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top