রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

রামেক হাসপাতালের সামনে রমরমা মাদক ব্যবসা


প্রকাশিত:
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৩৫

আপডেট:
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৫০

ছবি: প্রতীকী

উত্তরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল  কলেজ(রামেক)হাসপাতাল। এ হাসপাতালে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন বহু রোগি। তবে এ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেটের সামনে সচরাচর দেখা মিলছে বিভিন্ন ধরণের মাদকের উচ্ছিষ্ট।

বিশেষ করে ফেন্সিডিলের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। শুধু ইমার্জেন্সি গেটের সামনেই নয়। মেডিকেলের ভেতরেও বিভিন্ন চিপাচাপায় দেখা মিলছে ফেন্সিডিলের খালি বোতল।

শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেলের আসে পাশে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেডিকেল ইমার্জেন্সির সামনে মাইক্রো ষ্ট্যান্ডের আশপাশে ফেন্সিডিলের অসংখ্য খালি বোতল পড়ে আছে। এদিকে মেডিকেল প্রধান গেটের অপর প্রান্তে রাস্তার পাশেও ফেন্সিডিলের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়।

জানা গেছে, রামেক হাসপাতালের সামনে রয়েছে মাইক্রোষ্ট্যান্ড। এই ষ্ট্যান্ডে কর্মরত চালকরা বিভিন্ন সময় মাদক সেবন করে থাকে। শুধু মাইক্রো চালকরাই নয় হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যদেরও মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে আইন অনুযায়ী হাসপাতালে সবধরণের মাদক নিষিদ্ধ হলেও হাসপাতাল চত্বরে হরহামেশাই সিগারেট, বিড়ি,গাঁজা, ফেন্সিডিলের মত ক্ষতিকারক মাদক দ্রব্য বিক্রি হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই ।

হাসপাতালে প্রকাশ্যে মাদক সেবন বিষয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.সাইফুল ফেরদৌস রাজশাহী সংবাদকে বলেন, আমরাতো প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কোন ভাবেই মাদক মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। মেডিকেলে বাইরে থেকে লোকজন এসে মাদক সেবন করে যাচ্ছে। তাদের আমরা ধরতে পারছি না। নিরাপত্তার জন্য আমরা আনসার সদস্যদের রেখেছি তার পরেও কোন ভাবে সম্ভব হচ্ছে না।

আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন আনসার সদস্য মাদকের সাথে জড়িত নয়। তবে ধূমপান করে থাকতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে করে মেডিকেলের আশপাশে কেউ মাদক সেবন করতে না পারে।

এ বিষয়ে হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনর্চাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের চোখেও ফেন্সিডিলের খালি বোতল মাঝে মাঝে চোখে পড়ে। তবে আমাদের কিছু করার থাকে না। হাসপাতালে মাত্র ৮ জন পুলিশ সদস্য দিয়ে সব দিক দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না। আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কে বা কাহারা মাদক সেবন করে থাকে। তবে আমরা সর্বাবস্থায় তৎপর রয়েছি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এবিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, হাসপাতালের সামনে ফেন্সিডিলের বোতল পড়ে থাকার খবর আমাদের জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা বিষয়টি দেখব।

এ বিষয়ে কথা হয়েছিল এসিডির মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুল রাজশাহী সংবাদকে জানান, এসিডি মূলত তামাক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। মেডিকেল নিয়েও আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। এর মধ্যে মেডিকেলে তামাক নিয়ে প্রবেশ ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশে বিক্রির বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালককে অবহিত করেছি। তিনিই পারেন এই বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলে মন্তব্য করেন।

 

 

আরপি/এমএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top