রাজশাহী সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাজশাহীতে রোজার আগেই ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য


প্রকাশিত:
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩৮

আপডেট:
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪২

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

রমজানকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। রোজাকে টার্গেট করে ইতোমধ্যে রাজশাহীতেও বাড়তে শুরু করেছে সব রকমের ভোগ্যপণ্যের দাম। মাছ-মাংসের পাশাপাশি কাঁচা সবজি কিংবা মশলার দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বাজারে অস্থিরতা দূর করতে বাজার মনিটরিং চান ক্রেতারা।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

নগরীর কাচাঁ বাজারগুলোতে দেখা যায়, শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমেও সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, বরবটি ও পটল। মাসখানেক ধরেই দ্রব্যমূল্যের শীর্ষে থাকছে সবজিগুলো। কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা রানা ইসলাম জানান, সবজির দাম কম। কিন্তু করলার দাম বেশি। করলা আসে সাধারণত নরসিংদী থেকে। এখন আমদানি কম, তাই দাম বেশি হয়েছে।

তবে কমেছে বেগুনের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এছাড়াও ডুমুর ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা,আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, ওলকপি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়াও শাকের মধ্যে প্রতি কেজি লালশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ২৫ টাকা, পুইশাক ৪০ টাকা, কচুশাক ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি আদা ২০০ টাকা, দেশি রসুন ২২০ টাকা ও পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর কাঁচা মরিচ জাতভেদে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। আগের মতোই আছে ক্যাপসিকামের দাম। বাজারে সবুজ ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা, লাল ক্যাপসিকাম ৫০০ টাকা ও হলুদ ক্যাপসিকাম ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

মাছের মধ্যে ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, দেশী কৈ ৬৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ টাকা, পুটি ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, বাটা ১৬০ টাকা, রুই ১৮০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, সিলভার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে।

মাছ বিক্রেতা রফিক আলম বলেন, বড় মাছের দাম ছোট মাছের দামের তুলনায় একটু বেড়েছে। রোজার আগে দাম কমার আভাস নেই বলেও জানান তিনি।

এছাড়া খাসির মাংস ১১০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ২০০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা, দেশী মুরগী ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর ডিমের মধ্যে- পোল্ট্রির সাদা ডিম ৪০ টাকা, লাল ডিম ৪২ টাকা, হাসের ডিম ৭৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে।

তবে কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে মুদি দোকানের জিনিসের দাম। বাজারে সয়াবিন প্রতি কেজি ১৫৫ টাকা, বিদেশি চিনি ১৩৮ টাকা, দেশি চিনি ১৫০টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১৭০ টাকা এংকার ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর মিনিকেট চাল ৬৮ টাকা, আটাশ চাল ৬০ টাকা স্বর্ণা ৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৯০ টাকা, বাসুমতি ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

জানতে চাইলে মুদি বিক্রেতা হাসিবুল বলেন, এখন থেকেই সকল জিনিসের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। তবে রমজান মাসে আরো বাড়তে পারে।

সবজি ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, দিন দিন সবজির দাম বাড়তেই আছে। কিছু কিছু সবজির দাম এত পরিমাণ বেড়েছে, মানুষ যে কিনে খাবে তার উপায় নেই।

আফজাল হোসেন নামের এক কলেজ ছাত্র বলেন, জিনিসপত্রের দাম এতো বাড়লে মানুষ খাবে কি? ধাপে ধাপে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। একবার বাড়লে আর কমে না। মানুষের আয় তো সেই হিসেবে বাড়ছে না। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ তারা যেন বাজার মনিটরিং করে।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top