রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

কেজিতে ৪০ টাকা কমলো কাঁচা মরিচের দাম


প্রকাশিত:
২৯ আগস্ট ২০২২ ০২:২৭

আপডেট:
২৯ আগস্ট ২০২২ ০৩:০০

সংগৃহিত

চলতি মাসের ৬ আগস্ট হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। এরপর থেকে কমতে থাকে দাম। তবে, ভারত থেকে বর্তমানে যে কাঁচা মরিচ আসছে তার কেজি মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। অথচ দেশের সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪ গুণ বেশিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যখন কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় পৌঁছে ঠিক তখনই স্বাভাবিক সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, সরবরাহ কমায় দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। মোকামগুলোতে দাম অনেকটা কমে এসেছে। বর্তমানে দেশি কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় নেমে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহীতে কাঁচা মরিচ আসে মূলত হিলি বন্দর থেকে। এছাড়া স্থানীয় কৃষকরা উৎপাদন বেশি হলে হিলিতেই বিক্রি করতে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো এসব এলাকার মরিচ ও সবজি।

রাজশাহী ও নওগাঁর বাজারগুলোতে সবজির দাম এক সপ্তাহ আগেও ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে কিছুটা কমেছে। গাঁজর, শশা, ক্যাপসিকামসহ কিছু সবজির দাম আকাশছোঁয়া এখনও।

নওগাঁর তিন ভাই মোল্লা ট্রের্ডাসের মালিক আলমগীর হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আমরা হাটে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনি। সেই মরিচ নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্রি করি। সারা বছর মরিচের বসে। তবে জ্যেষ্ঠ- আষাঢ় মাস থেকে শুরু হয়ে কার্তিক মাস পর্যন্ত পুরো দমে কেনা বেচা হয়। এখন দাম কমেছে।

আজ রোববার রাজশাহীর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। তবে, পেঁয়াজের দাম কমেছে। রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া, উপশহর নিউমার্কেট, লক্ষীপুর নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সবজির দাম কমার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর কিছু কিছু সবজির দাম বাড়ে। গাঁজর, শশা, লেবু, পেঁয়াজের দাম চাহিদার কারণে কমবেশি হয়। এছাড়া পটল, বেগুন, কাঁকরোল, ঢেঁড়স, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে আছে; দামও সহনীয়। সবগুলো সবজির কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ৮০ টাকা। গত সপ্তাহ এই দাম ছিল ১২০ টাকার বেশি। এদিকে সপ্তাহের বাজারে বেগুন ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, শসা ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫-২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিংগা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, লাউ পিচ ৪০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে দেখা মিলেছে লাল, হলুদ, সবুজ ক্যাপসিকামের। সবুজ ক্যাপসিকাম আড়াইশ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা কেজি।
সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলছেন, এক সপ্তাহ ধরে সবজি বিক্রি কমে গেছে। যত বিক্রি হবে তত লাভ হবে আমাদের। শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই বাজারে ভিড় শুরু করছে। মাছের দাম বেড়েছে তাই সবজির দামও কিছুটা বাড়তি ছিল আবার কমে গেছে। বৃষ্টি হলে উৎপাদন বাড়ে। কৃষকরা সরাসরি বাজারে নিয়ে আসছেন আশেপাশের এলাকা থেকে। কাশিয়াডাঙ্গা, হড়গ্রাম, পারিলা, বনগ্রাম এসব এলাকার সবজি বেশি।

নিউমার্কেট বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা হামিদুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম বেশি। ১৫ টাকা কেজি পটোল। বেগুন, কাঁচা পেঁেপ সবকিছুর দাম বেশি। সবজির বাজার বেশি থাকার কারণ হলো উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সার-ঔষুধের দাম বেড়েছে তাই সবজির দামও বেশি। যতখানি কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ে তার তিনগুণ বাড়ে ভোক্তার কাছে এসে।

 

আরপি/ এসএইচ ০৫

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top