রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

ঢালারচর এক্সপ্রেসে রসিদ ছাড়াই টাকা আদায়


প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:০২

আপডেট:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:০৩

ছবি: টিকিট পরীক্ষক

করোনা ভাইরাসের কারণে আসনবিহীন টিকিট দেওয়া বন্ধ আছে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে। এরপরও বাধ্য হয়ে স্থানীয় যাত্রীদের বিনা টিকিটে রেলে ভ্রমণ করতে হচ্ছে। ট্রেনে ওঠার পর তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হলেও দেওয়া হচ্ছে না টাকা গ্রহণের রসিদ।

যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের কিছু কর্মকর্তা ওই টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করছেন। এ জন্য রসিদ দেওয়া হয় না।

গত মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢালারচর স্টেশন গামী আন্তনগর ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

ওই দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশনের প্ল্যাটফর্মে অনন্ত ৩০ যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়, যাঁদের গন্তব্য ছিল আজিমনগর-পাবনা-ঢালারচর। কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা।

আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশনের ষ্টেশন মাষ্টার ইমদাদুল ইসলাম জানান, এই স্টেশন থেকে পাবনা ও ঢালারচর স্টেশন ব্যতিত আসন বরাদ্দ নেই, করোনার কারণে আসনবিহীন টিকিট দেওয়া বন্ধ আছে।

রাজশাহী থেকে ঢালারচর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল ৫ সাড়ে টায় আব্দুলপুর স্টেশনে পৌঁছায়। ওই ট্রেনে উঠে পড়েন যাত্রীরা। এরপর শুরু হয় ভাড়া আদায়ের কার্যক্রম। তবে রাজশাহী থেকেই এই ভাড়া আদায়ের কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানায় যাত্রীরা।

আব্দুলপুর স্টেশন থেকে আজিমনগর যাওয়ার জন্য বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠেন মহাসিন (২৫)। তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকেন ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক ওয়ালিউল্লাহ বাবুসহ আরো ৩ জন।

যাত্রীর কাছে থেকে টাকা নিয়েও আদায়ের রসিদ না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চান, প্রতিবেদকের পরিচয় ও (টিকিট নং- ৭১৩৬৪৮) প্রদানের পর ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক বলেন, 'অনলাইন সাংবাদিক এখন অলি-গলিতে, এসবে নিউজ করে কিছু হবে না'

রাজশাহী থেকে কাশিনাথপুর স্টেশন গামী মনিরুল ইসলাম (২০) ওই ট্রেনে ভ্রমণের সময় বলেন, তিনি রাজশাহী স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট নিতে গেলে জানানো হয় টিকিট নেই। বাধ্য হয়ে বিনা টিকিটেই ট্রেনে ওঠেন। টিটি ভাড়া হিসেবে ১২০ টাকা নেন। কিন্তু কোনো টিকিট বা টাকা আদায়ের রসিদ দেন নি, রশিদ চাইলে বলেন রসিদ দিলে জরিমানাও দিতে হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে পাকশী জোনের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহীদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top