রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

রামেক হাসপাতাল যোগ হচ্ছে এক হাজার শয্যা


প্রকাশিত:
২৩ মে ২০২১ ০৫:৫৭

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০০

ছবি: রামেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা

উত্তর জনপদ তথা দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবার অন্যতম ভরসার নাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা এক হাজার ২০০। কিন্তু এই সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুন বেশি রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা নেন এই হাসপাতালে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার রোগী এই হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। ফলে বাড়তি রোগীর স্থান সংকুলান ও সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের।

জনসাধারণের চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে ও অতিরিক্ত রোগীর স্থান সংকুলানে রামেক হাসপাতালে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও এক হাজার শয্যা। শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত রামেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধির জন্য একটি পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শয্যা বৃদ্ধির গুরুত্ব, খসড়া নকশা উপস্থাপন, জায়গা নির্ধারণ, লোকবল নিয়োগসহ হাসপাতালের সার্বিক চিকিৎসাসেবার উন্নয়ন, প্যাথলজির সর্বোচ্চ ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রোগীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মর্ডান লন্ড্রী প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিত্যক্ত জায়গার সৌন্দর্যবর্ধন, সেবা সহজীকরণ ও কভিড-১৯ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এসময় তিনি বলেন, আমরা একটা হাসপাতালের ব্যবস্থা করবো। এটা কিভাবে আমরা করতে পারি, তার একটা প্রস্তাবনা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে দুই কার্যদিবস চলে গেছে। আর ৮ কার্য দিবস আছে। তবে এর আগেই আমরা এই পরিকল্পনা পাঠিয়ে দিবো। এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে শয্যা সম্প্রসারণ খুবই দরকার। ৬০ এর দশকের এই হাসপাতালে কিছু বেড বাড়ানো হয়েছে। তারপরে দীর্ঘ সময় ধরে আর হয়নি। আমরা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারিনা। রাজশাহীর মানুষের জন্য আমাদের যে দায়িত্ব, আমরা তা পালন করবো। এছাড়া হাসপাতালের ভেতরে আমরা কিভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্র কিভাবে আরও বাড়াতে পারি তারও একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।

সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমাদের রাজশাহীর মানুষ যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এটা ভারতের ভ্যারিয়েন্ট কি না, এটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রামেক হাসপাতালে যেসব করোনা রোগী আছেন তাদের অধিকাংশ যেহেতু চাঁপাইনবাবগঞ্জের, সেহেতু এই জায়গাটাকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসার পর্যন্ত ব্যবস্থা করে রামেক হাসপাতালে চাপ কমাতে হবে।

সেই সঙ্গে বর্ডার এলাকাগুলোতে কড়াকড়ি আরোপসহ হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন, দালালদের দৌরাত্ম নিরসন, হাসপাতালের বাইরের দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এছাড়া রাজশাহী সদর হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দেন সাংসদ বাদশা।

সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি হাসপাতালের বিদ্যমান সমস্যা, সম্ভাবনা, করণীয় ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) এএনএম মঈনুল ইসলাম, নগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) তৌহিদুল আরিফ, রাজশাহী মেডিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সমাজসেবী শাহিন আকতার রেনী, রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. খলিলুর রহমান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ গণপূর্ত বিভাগ-২, রামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্সিং সুপারিনটেনডেন্টসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা।



 

আরপি/এসআর-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top