রাজশাহী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সেফুদাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা


প্রকাশিত:
২ অক্টোবর ২০১৯ ২১:০২

আপডেট:
২ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১০

সেফুদাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার সকালে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি সেফাত উল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার বিভিন্নভা ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, যা আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হলো।

২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। তিনি কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top