রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২


গোপনে বিয়ে, আচমকা পুলিশ দেখেই দৌড় দিলো বরপক্ষ


প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০২০ ০২:১৯

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:১০

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশি ঝামেলা এড়াতে রাতে কনের বাড়িতে গোপনে চলছিল বিয়ের আয়োজন। বরপক্ষের খানাপিনাও প্রায় শেষ। এরই মধ্যে কনে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্থানীয় এক সাংবাদিকের মোবাইল নম্বরে কল করে বিষয়টি জানায়। কিছুক্ষণ পরই বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ।

আচমকা বাড়িতে পুলিশ দেখে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বরপক্ষের লোকজন। তারা পালিয়ে রক্ষা পেলেও বর ও তার ভাইসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে বাল্যবিয়ে না করার শর্তে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে জেলার দেবিদ্বার পৌর এলাকার উত্তর ভিংলাবাড়ি এলাকায়।

পুলিশ জানায়, অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী (১৩) শনিবার রাতে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক শাহীন আলমের মোবাইলে কল করে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানায়। পরে ওই সাংবাদিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশের এসআই মো. আনোয়ার হোসেন পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন।

এ সময় বরপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর বাল্যবিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বর আনিছুর রহমান মুরাদনগর উপজেলার ত্রিশ গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং পেশায় ফল ব্যবসায়ী।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বরপক্ষ পালিয়ে গেলেও বর মো. আনিছুর রহমান, তার বড় ভাই লিটন মিয়া ও চাচা খলিল মিয়াকে আটক করে পুলিশ। স্কুলছাত্রী জানায়, আমি লেখাপড়া করতে চাই। আমার পরিবার আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। পরে এক সাংবাদিককে কল করে নিজের বিয়ের কথা জানালে পুলিশ এসে বিয়ে ভেঙে দেয়।

দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, সারা দেশে করোনার কারণে জনসমাগম এড়াতে বিয়ে-সভা ও অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়।

তাই বর-কনেপক্ষ গোপনে রাতে স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করে দেই। ভবিষ্যতে বাল্য করবে না মর্মে বর মুচলেকা দেয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।

 

আরপি/ এমবি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top