রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১


গাজীপুরের ফ্যান কারখানায় আগুনে নিহত ১০ জনের পরিচয় মিলেছে


প্রকাশিত:
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৯

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৬

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কেশোরিতা এলাকার লাক্সারি ফ্যান তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে নিহতদের নাম জানা গেলেও তাদের সবার মরদেহ চিহ্নিত করা যায়নি। নিহতরা সবাই ওই কারখানায় তৃতীয় তলায় কর্মরত ছিলেন। গতকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বাড়িয়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার লাল মিয়ার ছেলে পারভেজ, ময়মনসিংহের রাঘবপুর এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তারিকুল ইসলাম, দিনাজপুরের বারবটিকা এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ লিমন, গাজীপুর সদর উপজেলার কালনী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল খান, শ্রীপুরের মার্তা গ্রামের নজরুল ইসলাম নজর ছেলে শামীম, একই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ, রংপুরের আরাগাছ এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম, নরসিংদীর বেলাব থানার চর কাশিনগর এলাকার ছেলে সজল মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার মুনিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, নিহতদের নাম জানা গেলেও তাদের সবার মরদেহ চিহ্নিত করা যায়নি। ঢাকা থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছেন। যাদের মরদেহ চিহ্নিত করা যায়নি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার কেশোরিতা এলাকার লাক্সারি ফ্যান কোম্পানি লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হন।

ঘটনার পর পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রীনা পারভীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকি, র্যাব গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের মরদেহ দাফন ও পরিবহনের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top