রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সর্বহারা বিলকিস


প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:০৫

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১২:০০

ছবি: ক্ষতিগ্রস্থ বিলকিস বেগম

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সর্বহারা হয়ে পড়েছেন বিলকিস বেগম। দর্জির কাজ করে মানসিক প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে কোনমতে সংসার চলতো।পরিবারটি বুলবুলের কবলে এবার নিঃস্ব। মাথা গোঁজার শেষ সম্বল ছিল ঘরটি। সে ঘরটিও এখন নেই।

বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি ঘর থেকে বের হতে পারেন না। তিন মেয়ে সন্তান। এই ঘরটুকু ছাড়া কিছুই নেই আমার। সেলাইয়ের কাজ করে যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়েই সংসার চলে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিল। এখন কি করবো, অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে কোথায় থাকবো জানি না।’

তিনি বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা থাকবো কোথায় আর যাব কোথায় জানি না। ঘরে এক টাকাও নেই। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও শেষ হয়ে গেল।’

স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষক ইদ্রিস আলী জানান, ‘ভোররাতে শুরু হওয়া ঝড়ের কবলে পড়ে এলাকার বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মানুষের মাঝে হাহাকার পড়ে গেছে। বিলকিস বেগমের সম্পদ বলতে শুধু এই ঘরটুকুই ছিল। সেটুকুও তার অবশিষ্ট নেই।’

স্থানীয় গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ও বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জানান, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। মাটির ঘরবাড়ি সব বিধ্বস্ত।

সাতক্ষীরা জেলা কন্ট্রোল রুমের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা ডিআরআরও প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘ধীরে ধীরে আবহাওয়া শান্ত হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়াবে সরকার।’

তিনি জানান, ‘জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৬৬০টি ঘর ও সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৮০টি ঘরবাড়ি। এসব মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top