রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


ঈদে লকডাউন বিষয়ে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২১ ০৩:০৯

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৫

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে বাংলাদেশের আকাশে। সে হিসেবে ১২ জুলাই জিলহাজ্ব মাস শুরু এবং সারা দেশে আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) উদযাপিত হবে। তবে ঈদে কঠোর লকডাউন থাকবে নাকি শিথিল হতে পারে? বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রোববার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেনে তিনি।

সামনে ঈদ ও কোরবানির হাটের ব্যাপারে ১৪ জুলাইয়ের পর কী হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এবার করোনা এমনভাবে ছড়িয়েছে যা ভয়াবহ। এ প্রক্রিয়া (চলমান কঠোর বিধিনিষেধ) অব্যাহত রাখতে হবে। ঈদ ও কোরবানির পশুরহাট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার। ডিজিটাল পশুরহাটের পাশাপাশি সারা দেশে স্বাভাবিক হাটও বসবে। করোনার কারণে বাউন্ডারিযুক্ত খোলা মাঠে পশুরহাট বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে আসতে হবে। হাটের ৩টি পথ থাকবে। এর একটি দিয়ে পশুসহ প্রবেশ করবে। একটি দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপরটি দিয়ে ক্রেতা বের হয়ে যাবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার ঈদে গ্রামে এত সংক্রমণ ছিল না। এবার গ্রামে সংক্রমণ বেশি। তাই সবাইকে ঈদে গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হবে। নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কাল (সোমবার) রাতে এ বিষয়ে বৈঠক হবে, তারপর জানানো হবে। সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরতা থাকবেই। সংক্রমণ ৫ শতাংশের মধ্যে না আসা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা অকারণে বের হবে তাদের জরিমানাসহ গ্রেফতার করা হবে।

পোশাক শ্রমিকদের ঈদে বাড়ি ফেরার বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য তাদের ছুটি দিতে ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। এবার ঈদে যেন তারা গ্রামে না যায়, সে ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। করোনা কমাতে গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দেশের করোনা সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহ চলমান ‘কঠোর লকডাউন’ বা কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানো হতে পারে। পবিত্র ঈদুল আজহা ও কোরবানীর হাট- এ দুটোই নিয়ন্ত্রণ করাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এসব পরিস্থিতি সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।

সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সে অনুযায়ী ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top