রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


সাপাহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ


প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:২৬

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৩

ছবি: সংগৃহীতসাপাহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির এর বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম নীতি বহিঃভূর্ত ভাবে বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ, বিএড, স্কেল পরিবর্তন ও শিক্ষক এমপিওসহ বিভিন্ন কাজে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির গত ১০ জুলাই ২০১৯ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে এ উপজেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিএডসহ বিভিন্ন স্কেল পরিবর্তন, শিক্ষক এমপিওসহ বিভিন্ন কাজে উৎকোচ বাণিজ্য শুরু করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রতিটা নিয়োগে প্রার্থীদের দিতে হয় পঞ্চাশ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের সুবিধামতো সময়ে অফিসে আসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষার এই কর্মকর্তার। চাকুরি করেন সাপাহারে আর বসবাস করেন রাজশাহীতে। সকাল নয়টা টা হতে পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও প্রায় প্রতিদিন দেরিতেই অফিসে আসেন তিনি। অভিযোগ আছে ছুটি না নিয়ে অফিস ফাঁকি দেওয়ার। গত ৩১ জানুয়ারি সাংবাদিকরা তার অফিসে গেলে তাকে না পেয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সে ছুটি ছাড়াই অফিস ফাঁকি দিচ্ছেন।

অফিস চলাকালিন সময়ে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আসেন। কিন্তু অফিসে এসে দেখতে পান শিক্ষা অফিসারের চেয়ার আছে, অফিসার নেই। এভাবে দীর্ঘদিন থেকে কাজের সুবিধা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষকদের নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এ নিয়ে সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকরা তার এমন কর্মকাণ্ডে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সরকারি নিয়ম নীতি বহিঃভূর্ত ভাবে স্কুলে বিভিন্ন নিয়োগ, বিএড, স্কেল পরিবর্তন, শিক্ষক এমপিওসহ বিভিন্ন কাজে টাকা ছাড়া কোন প্রকার কাজ করেননা তিনি।

একজন মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতোসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সচেতন শিক্ষক মহলে নিন্দা'র ঝড় এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এবিষয়ে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবিরের সাথে কথা হলে, তিনি জানান, নিয়োগসহ বিভিন্ন অভিযোগ বিষয়ে কারো কাছে কোন প্রকার টাকা গ্রহণ করা হয়নি। শুধুমাত্র নিয়োগ বোর্ডের জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে একটি সম্মানির অংশ নিয়োগ বোর্ড গ্রহণ করে থাকে। এখানে আমার অনারিয়াম এর টাকা থাকে যা আমি ভাগ পাই ।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বললে, সাপাহার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৩১ জানুয়ারি কোন প্রকার ছুটি নেননি। তাঁর অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে কোন প্রকার তথ্য নেই। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে।

আরপি/ এসআই-২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top