রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


মহাদেবপুরে বামনসাতা হাইস্কুলে এক পদে ২৩ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য


প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০২০ ০৩:১৩

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪০

ফাইল ছবি

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের বামনসাতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২৩ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এই নিয়োগের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও অভিযোগের ভিত্তিতে তা স্থগিত করা হয়।

নিয়োগপ্রার্থী তারেক রহমান, শিরিন খাতুন, এসলেমা খাতুন, এমরান হোসাইন, রণি কুমার ও সাগর কুমার দাস নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন যে, ওই পদে নিয়েগের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের অযুহাতে তাদের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা দাবী করেন। কিন্তু তিনি অশোক কুমার মন্ডলের কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দানের প্রক্রিয়া করছেন।

গত ১২ জুলাই তারা এই অভিযোগ দাখিল করে অনুলিপি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নওগাঁর জেলা প্রশাসক, মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সাংবাদিকদের কাছে পাঠান। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং অভিযোগের পর প্রধান শিক্ষক তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের ব্যবস্থা করেন।

শুক্রবার সকাল ১০ টায় ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ৮ জন নিয়োগপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেখা নেই। দুপুর ১২ টায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা একসাথে গ্রহণ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান ও মহাপরিচালকের প্রতিনিধি সাপাহার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমারের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে সক্ষম হননি।লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে অভিয়োগে উল্লেখিত অশোক কুমারকে এগিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা তারও কোন উত্তর প্রধান শিক্ষক দিতে পারেননি।

দুপুরে এব্যাপারে মোবাইলফোনে নওগাঁ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোবারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয় তার স্মরণ নেই। তবে তিনি মোবাইলফোনে প্রধান শিক্ষককে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

তিনি জানান, তিনি নিজে সরেজমিনে অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু ১২ তারিখে অভিযোগ দাখিল হবার পর কেন সে বিষয়ে কোন তদন্ত না করে ২৪ তারিখ পরীক্ষার আয়োজন করা হলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অভিযোগকারীরা জানান, ইতিমধ্যেই ২৩ লাখ টাকা নিয়োগ বোর্ডের সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেছে। তারা লোক দেখানো পরীক্ষার আয়োজন করেছে মাত্র। তারা যে কোন উপায়ে অশোক কুমারকে নিয়োগ দেয়ার জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

অভিযোগকারীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের দাবী জানিয়েছেন।

 

আরপি/আআ-১৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top