রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছের দরপত্র জমা দিতে অনিয়মের অভিযোগ


প্রকাশিত:
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৭

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৮

ফাইল ছবি

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলার মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর বাঁধের গাছ বিক্রির দরপত্র জমা দিতে টেন্ডারবাজির কারনে দরপত্র পারেননি কিছু ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে দরপত্র জমা দিতে না পারায় ক্ষোভ বিরাজ করছে ঠিকাদারদের মাঝে। কঠোর ভাবে র‌্যাব পাহারায় রি-টেন্ডারের দাবী করেছে ঠিকাদাররা।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার আত্রাই নদীর ডান তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ২৮ কিলোমিটার (রামচন্দ্রপুর) থেকে ৩২ কিলোমিাটর (বিল মোহাম্মদপুর) পর্যন্ত চার কিলোমিটার এবং একই অর্থবছরে বামতীরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ২১ দশমিক ৫৭০ কিলোমিটার (বুড়াশিবতলা) থেকে ৩২ কিলোমিটার (কলোনীপাড়া) পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩০ মিটার মেরামত প্রয়োজন।

এজন্য বাঁধের দুই পাশে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ অপসারণ প্রয়োজন। এজন্য বন বিভাগের সহায়তায় অফিস থেকে দুইটি প্যাকেজ তৈরী করা হয়। যেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ডান তীরে ২ হাজার ৬৯৭ দশমিক শূন্য ৯ ঘনফুট কাঠ এবং ৫ হাজার ৩১৪ ঘনফুট জ¦ালানির পরিমান নির্ধারণ করা হয়। অপরদিকে নদীর বাম তীর ২ হাজার ৫৯ দশমিক ৪৪ ঘনফুট কাঠ এবং ২ হাজার ২৪১ ঘনফুট জ¦ালানি পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিলাম দরপত্রের আহ্বান করা হয়। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

কিন্তু নির্ধারিত শেষ দিনে অনেকেই দরপত্র জমা দিতে পারেননি। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের দ্বিতীয় তলায় নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষের সামনে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত স্থানে দরপত্র জমা দেওয়ার বাক্স রাখা ছিল। সকাল থেকে দ্বিতীয় তলায় দরপত্র বাক্সের আশেপাশে ২-৩ জন ও অফিসের নিচে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত ১৫-২০ জানের একটি সিন্ডিকেট চক্র অবস্থান করছিল।

এজন্য অনেক ঠিকাদার তাদের দরপত্র জমা দিতে না পারায় ফেরত যেতে হয়েছে। দরপত্র জমা দিতে না পারায় ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে অফিসের কিছু কর্মচারীর জোগসাজস আছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ঠিকাদার বলেন, আমরা ঠিকাদাররা ব্যাবসার কৌশলগত কারনে মূলত শেষ দিনে পরিস্থিতি বুঝে মূল্য র্নিধারন করে দরপত্র জমা দিয়ে থাকি। সেই মোতাবেক দরপত্র জমা দিতে গিয়ে দেখি কয়েক জন উরতি বয়সের ছেলে দরপত্র পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া তাদের সার্পোট দেওয়ার জন্য গেটের বাইরেও ১৫-২০ জন ছিল। সে কারনে ইচ্ছে থাকার পরও আমরা কয়েকজন দরপত্র জমা দিতে পারিনি। অথচ সেখানে নির্বাহী প্রকৌশলীর সিসিটিভিও থাকার কথা। আমরা কঠোর পুলিশ এবং র‌্যাব পাহারায় রি-টেন্ডার চাই।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান বলেন, দুইটি প্যাকেজে পাঁচটি দরপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে এক নম্বর প্যাকেজে তিনটি এবং দুই নম্বর প্যাকেজে দুইটি। দরপত্র উত্তোলনের দিন থেকেই জমা দিতে পারবে।

অনেকে নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে এসে দরপত্র জমা দেওয়ার সময় নিজেদের (ঠিকাদার) মধ্যে যদি সমঝোতা হয়না। তখনই তারা অভিযোগ করেন যে দরপত্র জমা দিতে দিচ্ছেনা। তবে কোন সমস্যা হলে পুনরায় টেন্ডারের (নিলাম) আহ্বান করা হবে।

 

 

 

আরপি/এসআর-১১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top