রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


নওগাঁয় লকডাউনের প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত:
২ জুলাই ২০২১ ০০:৪৩

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০১

ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ব্যপকতা রোধে দেশব্যপী সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন বৃহষ্পতিবার সকাল ৬টা থেকে নওগাঁয় সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হচ্ছে। শহরসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারে দু’একটি ঔষধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। বাস, ট্রাক, পিক-আপ, রিক্সা ভ্যান, বেবীট্যাক্সী, টমটম, সিএনজিসহ সকলপ্রকার যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

শহরের গুরুত্বপূর্ন মোড় সমুহে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের কঠোর সতর্ক নজরদারী লক্ষ্য করা গেছে। সকল রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নান মিয়া সরাসরি রাস্তায় নেমে এসব ব্যবস্থা তদারকী করছেন।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন জেলায় মোট ১ হাজার ৪শ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ৫টি টিম এবং বিজিবি’র ৮টি টীম পুরো জেলায় টহল প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোলরুম সূত্রে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নওগাঁয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রানীনগর, আত্রাই ও বদলগাছি উপজেলায় ১ জন করে এবং পত্নীতলা উপজেলায় ২ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হলো ৮২ ব্যক্তির।

এই ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ১১০ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৯ জন, রানীনগর উপজেলায় ১০ জন, আত্রাই উপজেলায় ৭ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৯ জন, মান্দা উপজেলায় ৩ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৪ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১৭ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৫ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ জন এবং সাপাহার উপজেলায় ৫ জন।

এ নিয়ে জেলা মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হলো ৪ হাজার ৬শ জন। এই সময় মোট ৩০৮ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২০২ জনের এ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ৪১ ব্যক্তির এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ সময় সুস্থ্য হয়েছেন ৭৫ জন এবং সর্বমোট সুস্থ্য হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৩২৪০ জন। সুস্থ্য হওয়ার পর বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ১৩৬০ জন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন ৪০ জন এবং অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।

এই ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয়েছে ৩০৬ এবং ছাড়পত্র রেদয়া হয়েছে ২৪১ জনকে। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক ৪৭ জনসহ মোট কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৮শ ৭৮ জন।

 

আরপি/এসআর-১৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top