রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


নওগাঁয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ


প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২১ ০৫:২৯

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০২:৪৩

ছবি প্রতিনিধি

নওগাঁর পত্নীতলার নজিপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অরুন পালের  বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী এবং ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৫ জুন)  দুপুরে উপজেলার ২নং ওয়ার্ড পলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বটতলা সংলগ্ন আত্রায় নদীতে  ড্রেজার বসানোর জন‍্য স্থানীয় বালু ব‍্যাবসায়ীদের নিকট হতে কাউন্সিলর অরুন পাল  চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে নুরুমেম্বার ও অরুন পালের মধ‍্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হতে থাকে। ধাক্কা ধাক্কির এক পর্যায়  অরুন পাল আহত হয়।

উপজেলার ইসাপুর গ্রামের  ইউসুফ পাটোয়ারীর ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু ( নুরু মেম্বার)  বলেন, ধামইরহাটের ঠিকাদার মফিজ উদ্দিন এর বালু উত্তোলনের লাইসেন্স ব‍্যাবহার করে আত্রাই নদীর চরে মফিজউদ্দিনসহ কয়েকজন অংশিদারিত্ব সাপেক্ষে বালুর ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে নজিপুর পৌরসভার কাউন্সিলর অরুন পাল তার এলাকায় পয়েন্ট স্থাপন সাপেক্ষে আমাদের কাছে চাঁদা হিসেবে পাঁচ (০৫) লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে, নিরুপায় হয়ে ইতিমধ্যে তাকে ৫০হাজার টাকাও  দিয়েছি তার পরও আরও টাকার জন্য বারবার চাপ দেয়।  আজ শনিবার দুপরে টাকা চাইতে আসলে  উভয়ের মধ্যে  কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কাউন্সিলর তাকে  ধাক্কা দেয় এর পর তিনিও  তাকে ধাক্কা দিলে সে বটগাছের শিকড়ে লেগে সামান্য আঘাত পায়।

নুরু মেম্বার এর পার্টনার কাঞ্চন গ্রামের চয়েন উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন  জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা সরকারী নিয়ম মেনে বালুর ব্যবসা করে আসতেছে এরমধ্যে অরুন পাল এসে বলে তার এলাকায় ব্যবসা করতেছি তাকে টাকা দিতে হবে সে কাউন্সিলরের প্রভাব খাটিয়ে তাদের কাছে  ৫ লাখ টাকা দাবি করে। নুরু মেম্বার তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে পরে বিষয়টি সে জানতে পারে।  এ ঘটনার পর অরুন পালের লোকজন ড্রেজার  মেশিন ও অফিস ঘর ভাংচুর ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।  সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এমনটা অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে নজিপুর পৌর কাউন্সিলর অরুন পাল টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সেএকজন জন প্রতিনিধি নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলার কারনে  নদীর বেড়ী বাধ, ঘর বাড়ী শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা করে গ্রাম বাসিরা তার কাছে অভিযোগ দেয় এবং প্রশাসন বরাবর আবেদন করে।  এরপর প্রশাসন তাদের কে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করে। এ ঘটনায় তারা তাকে আজকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে  মারধর করে এতে তিনি গুরুতর  জখম হন বলে জানান।

তবে, স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন অরুন পাল গ্রামের মন্দীরের নাম বলে তাদের কাছে টাকা নিয়েছে। তবে, বিষয়টি গ্রামবাসীর নিকট  কাউন্সিলর গোপন রাখেন। আজকের ঘটনার পরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম  শাহ্ জানান থানায় কোন পক্ষ থেকেই কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ দিলে তদন্ত  সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top