রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


রামেক করোনা ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২১ ১৭:৩৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৫৯

ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান বলে জানান রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। রামেক হাসপাতালে একদিনে করোনায় এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু।

হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যে ১৬ জন মারা গেছেন তাদের ১০ জনই করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৬ জন। মৃতদের মধ্যে আইসিইউতে পাঁচজন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন, তিন নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মারা গেছে।

এছাড়াও মৃতদের মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জের নয়জন, রাজশাহীর ছয়জন, নওগাঁর একজন। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড গুলোতে ভর্তি আছেন ২২৫ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৫ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। এছাড়াও ১৩ জন রাজশাহীর, তিনজন পাবনার ও একজন নাটোর জেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে গত ২৪ মে থেকে শুক্রবার (৪ জুন) পর্যন্ত ১২ দিনে রামেকের করোনা ইউনিট ও আইসিউতে মারা গেলেন ৯৩ জন। এই ৯৩ জনের মধ্যে ৫৬ জনই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ। আগের দিনের তুলনায় রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৫ জনে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) তে ভর্তি ১৬ জন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর আরও ১৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২, রাজশাহীর ২৮৪ জনের নমুনার মধ্যে ৭৪ এবং নাটোরের ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের দেহে করোনা পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের রাত্রীকালিন বিধি-নিষেধ। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকল ৬টা পর্যন্ত দোকান-পাট, বিপনি বিতান ও মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, বৃহস্প্রতিবার প্রথমদিন প্রশাসন দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়ে লোকজনকে ঘরে ফেরার নির্দেশ দেয়। নতুন বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করতে নগরীতে ছয়টি ও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। প্রথমদিন শুধু জানান দেয়া হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বিধি-নিষেধ পালনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top