রাজশাহী শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র ১৪৩১


জোর-জবরদস্তির আলামত নেই, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই আনুশকাহর মৃত্যু


প্রকাশিত:
৯ জানুয়ারী ২০২১ ০৪:৫১

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই বন্ধুর বাসায় মৃত্যু হয়েছে ঢাকার কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেল পর্যায়ের শিক্ষার্থী আনুশকাহ নূর আমিনের। তবে জোর-জবরদস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্পর্শকাতর স্থানে কিছু ‘ইনজুরি’ পাওয়া গেছে।

ময়নাতদন্ত শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি ছাত্রীর বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহান (১৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত শেষ হয়।

এরপর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তকালে আমরা দেখতে পাই তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর সেটি হয়েছে মূলত তার ‘ভ্যাজাইনাল’ এবং ‘রেক্টাম’ রক্তক্ষরণ। দুইভাবে রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটা আপাতদৃষ্টিতে বিকৃত যৌনাচার মনে হয়েছে বলে জানান তিনি।

ধর্ষণ বা জোরাজুরির কোনো চিহ্ন পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সোহেল বলেন, এখানে জোর-জবরদস্তির কোনো আলামত পাইনি। তবে আমরা দুই পথেই কিছু ‘ইনজুরি’ পেয়েছি। সেই ইনজুরিগুলোর জন্যই রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং মারা গেছে। এটা গণধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, আমরা তার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে এ বিষয়ে বলা যাবে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকাহর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে আনুশকাহর এক আত্মীয় বলেন, ওই বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।

 

আরপি / এমবি-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top