রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২রা আশ্বিন ১৪৩১


গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ করে ধর্ষণ, অতপর


প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৩০

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:১৯

প্রতিকী ছবি

নেত্রকোনায় ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া গৃহবধূর করা মামলায় বিশ্বজিৎ খান রাজু (৩২) নামে এক যুবককে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামের রঞ্জন মোহন খানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম পোর্ট এলাকায় টোল আদায়কারী একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় বিশ্বজিৎকে এক নম্বর আসামি করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই অভিযুক্ত যুবককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে রিমান্ড শুনানির তারিখ পরবর্তী রেখে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ গৃহবধূর আত্মীয় হিসেবে ফুফাতো দেবর। ২০১৬ সালের কোনো একদিন কাজ সেরে গোসল করার সময় বিশ্বজিৎ গোপনে তার ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর সাথে সম্পর্ক করে। একদিন ওই গৃহবধূকে শরবত খাওয়ায় বিশ্বজিৎ। শরবত খেয়ে অচেতন হলে বিশ্বজিৎ তাকে ধর্ষণ করে এবং নগ্ন অবস্থায় সব কিছুর ভিডিও ধারণ করে। এরপর এগুলো দেখিয়ে আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এর কয়েকদিন পর দুর্গাপূজার সময় গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুরের ওপর হামলা চালায় বিশ্বজিৎ। এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখানোসহ আপত্তিকর প্রস্তাব দেয় বিশ্বজিৎ। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় চলতি বছরের ১০ মার্চ গৃহবধূর স্বামীর কাছে বেশকিছু ছবি পাঠান তিনি। বাকি ভিডিওগুলো ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। অবশেষে গৃহবধূ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ আরো জানায়, আগের ঘটনায় গৃহবধূর ভাসুরের হাত কেটে ফেলেছিল কব্জি থেকে। সেই মামলাটিও বিচারাধীন রয়েছে। সব মিলিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

 

আরপি / এমবি-১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top