রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২রা আশ্বিন ১৪৩১


ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে, অতঃপর


প্রকাশিত:
২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৪

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০৫

প্রতিকী ছবি

ভুয়া তালাকনামা দেখিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেঁসে গেছেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. নাজমুল হক। উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে রোববার বিকালে আটক করে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

নাজমুল হক মুরাদনগর উপজেলার ভুবনঘর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। তিতাস থানার ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফেসবুকে নাজমুলের সঙ্গে পরিচয় হয় গোপালগঞ্জের সুকতাইল গ্রামের রতন শেখের মেয়ে রনি খানমের (২২)। গত ১৭ ডিসেম্বর নাজমুল ও তার বন্ধু চান্দিনার রাণীচরের সিরাজুল ইসলামে ছেলে সাইফুদ্দিন মানিক গোপালগঞ্জের জিমি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেন।

১৮ ডিসেম্বর হরিদাসপুরে মেয়ের মামা কবির হোসেনের বাড়িতে নাজমুল ও রনির বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২০ ডিসেম্বর নাজমুলের কর্মস্থলের কাছে কড়িকান্দি বাজারে ভাড়া বাসায় নববধূকে নিয়ে উঠেন তিনি। তবে প্রথম বিয়ের তালাকনামাটির ভুয়া জেনে ২৫ ডিসেম্বর তার দুই আত্মীয় সঙ্গে ভাড়া বাসা থেকে সন্ধ্যায় বের হয়ে যান রনি খানম। পরে নাজমুল শেখকে আসামি করে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে তিতাস থানায় মামলা করেন তিনি।

নববধূ রনি খানম বলেন, নাজমুল আগে বিয়ে করেছিল সেটা জানিয়েছিল। প্রথম স্ত্রীকে সে তালাক দিয়েছে, সেই তালাকমানাও আমাদের দেখিয়েছিল। কিন্তু তিতাসে এসে জানতে পারি আগের স্ত্রীকে সে তালাক দেয়নি এবং তিন কন্যা সন্তান রয়েছে তার। বৃহস্পতিবার আমাকে মারধর করে ভাড়া বাসায় একা রেখে সে তার প্রথম স্ত্রীর কাছে যায়। পরে বিষয়টি মামাকে জানালে তিনি আমাকে নিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোসা. মোমিনুর জাহান বলেন, নাজমুল আমার অফিসে প্রকল্পের আওতায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। যেহেতু মামলা হয়েছে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নাজমুল প্রতারণার শিকারও হতে পারে।

তিতাস থানার ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম জানান, নববধূ রনি খানমের অভিযোগের ভিত্তিতে নাজমুলকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

আরপি / এমবি-২২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top