রাজশাহী শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ১লা চৈত্র ১৪৩১


মধ্য রাতে গৃহবধূর ঘরে মেম্বার, হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি


প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২০ ০২:৩০

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় তিন সন্তানের জননীর ঘরে ঢুকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের তিরঞ্জ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (৪৮) তিরঞ্জ গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা এবং ফুলকি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ভুক্তভোগী গৃহবধূ (৩৪) ওই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।

গৃহবধূর ভাষ্য, ‘একটি মামলায় আমার পরিবারের সদস্যরা আসামি হওয়ায় সাইফুল মেম্বার ৩-৪ দিন ধরে আমাকে মোবাইলে কল দেন। রাতে কল দিয়ে পুলিশ আসবে বলে আমার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বাড়িতে থাকতে নিষেধ করতেন। এর মাঝে আমাকে বিভিন্নভাবে আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়াসহ তার সঙ্গে অবৈধ কাজে লিপ্ত হতে বলেন। সম্পর্কে চাচি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে এসব কুপ্রস্তাব দিয়েছেন ওই মেম্বার। আমি তাকে এসব বাজে প্রস্তাব দিতে নিষেধ করি। পাশাপাশি লোকলজ্জায় কাউকে এসব কথা বলিনি।’

গৃহবধূ বলেন, ‘এতে সাইফুল আরও বেপরোয়া আচরণ শুরু করেন। উপায় না পেয়ে বিষয়টি স্বামী, পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় মহিলা ইউপি সদসকে জানাই। এরপরও সাইফুল মেম্বার মঙ্গলবার রাতে আমাকে ৩০ বারের বেশি কল দেন। কল রিসিভ না করায় মঙ্গলবার গভীর রাতে আমার ঘরে প্রবেশ করেন সাইফুল। এ সময় আমার স্বামী, পরিবারের সদস্য এবং এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মলি আক্তার বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি আমাকে জানানোর পর মেম্বার সাইফুল ইসলামকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি। কিন্তু কারও কথা না শোনে মঙ্গলবার গভীর রাতে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য (মেম্বার) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এখন হাসপাতালে। এলাকাবাসী কেন আপনাকে মারধর করেছে জানতে চাইলে ফোন কেটে বন্ধ করে দেন তিনি।এ ব্যাপারে জানতে ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুলের মোবাইলে বারবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়ায় তার মতামত জানা যায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাসাইল থানা পুলিশের ওসি হারুন অর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রামের চা-বিক্রেতার তিন সন্তানের জননীর ঘরে প্রবেশ করেন ইউপি সদস্য সাইফুল। পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

আরপি / এমবি-১২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top