রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


যুবলীগ নেতার দুই পায়ে গুলি: সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত:
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৮

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৬

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাকে তুলে নিয়ে দুই পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে চরজব্বর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে।

ঘটনার দুই দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হামলার শিকার যুবলীগ নেতার পিতা মো. জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে তার ১০ অনুসারীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.জয়নাল আবেদীন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যানকে এক নম্বর আসামি করে মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলু-ডিমের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চেউয়াখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ ওমর ফারুক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং চরজব্বর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

ভুক্তভোগী মো.হোসেনের অভিযোগ, গত ইউপি নির্বাচনে আমি নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের পক্ষে ওতপ্রোত ভাবে ভোট করি এবং টাকা খরচ করি। এটায় হচ্ছে আমার অপরাধ। এ নিয়ে ইউপি চেয়াম্যান ওমর ফারুক আমার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরের দিক চেউয়াখালী বাজারের একটি চায়ের দোকানে চেয়ারম্যান অনুসারী এক যুবকের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ওই চায়ের দোকান এসে মানুষের সামনে আমার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে তার প্রাইভেট কারে করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার অনুসারী রাসেদ, পোল্টি মিজান,সুমন,শাওন,বানু, সোহেল মধ্যযুগীয় কায়দায় আমার ওপর নির্যাতন করে এবং চেয়ারম্যান আমার দুই পায়ে গুলি করে। এরপর গুলিবিদ্ধ স্থানে তারকাটা ঢুকিয়ে দেয়। ওই সময় চেয়ারম্যান আমার মুঠোফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তারপর চৌকিদার নুরউদ্দিনকে দিয়ে আমাকে হাসপাতালে পাঠায় চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন: আজ সারাদেশেই ঝড়বৃষ্টির আভাস

তবে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক অভিযোগ নাকচ করে বলেন, গুলির বিষয়টি ডাহা মিথ্যা। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চেউয়াখালী বাজারে যুবলীগ নেতা হোসেনকে মারধর ও গুলির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

 

আরপি/এসআর-১৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top