রাজশাহী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


ভ্রমণের চারদিন পরই টিকিটের বকেয়া পরিশোধ করলেন যুবক


প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২৩ ২৩:২৩

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ করেছিলেন আলামিন (২৬) নামে এক যুবক। তিনি অনুশোচনাবোধ ও জীবনে দেনার দায় এড়াতে ভ্রমণের ৪ দিন পর এ টাকা পরিশোধ করলেন। 

বুধবার (১৬ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে হাজির হয়ে বিনা টিকেটে ট্রেন ভ্রমণের বকেয়া ২৮৫ টাকা পরিশোধ করেন। টিকেটের বকেয়া টাকা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টশনের বুকিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়: খাদ্যমন্ত্রী

আলামিনের বাবার নাম এরশাদ আলী। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ভগবানপুর গ্রামে। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় প্রাণ আরএফএলে চাকরি করেন। বিনা টিকেটের টাকা পরিশোধের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলামিন সততা ও মহানুভবতায় প্রশংসায় ভাসছেন।

জানা যায়, গত ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টায় জয়পুরহাট রেলস্টেশন থেকে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে তাড়াহুড়ো করে ওঠেন। পরে স্টেশনে নেমে দ্রুত কর্মস্থলে ফেরায় ভাড়া পরিশোধ করতে পারেনি। এনিয়ে কয়েকদিন ধরে চিন্তা করছিলেন কিভাবে ট্রেনভ্রমণ টিকেটেন ভাড়া পরিশোধ করবেন। পরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে যোগাযোগ করেন।

আলামিন বলেন, ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ১২ আগস্ট রাতে জয়পুরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছামাত্রই একতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। স্টেশন থেকে টিকেট কাটার সুযোগ না হওয়ায় দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়ি। পরে সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে নামা হয়। তখন থেকে মনের ভেতরে অনুশোচনাবোধ থেকে বিনা টিকেটের ট্রেনভ্রমণের ২৮৫ টাকা পরিশোধ করেছি।

আরও পড়ুন: সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী বহিষ্কার

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের বুকিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, গত ১২ আগস্ট রাতে টিকেট কাটতে না পেরে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে জয়পুরহাট রেলস্টেশন থেকে সেতু পূর্ব রেলস্টেশন পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণ করে আলামিন নামে ওই যুবক। সে আরএফএল কোম্পানি কালিহাতীতে কর্মরত আছেন।

তিনি আরও জানান, আলামিন অনুশোচনা ও দেনার দায় থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণের চারদিন পর বুধবার সকালে সেতু পূর্ব স্টেশনে এসে টিকেট সংগ্রহ করে সে। পরে টিকেটের ২৮৫ টাকা পরিশোধ করেন। তার এমন সততা ও মহানুভবতা সত্যিই অনুকরণীয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং তার সততায় পুরস্কৃত করা হবে।

 

 

আরপি/এসআর-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top