রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


আজ রাতেই মহিউদ্দিনের ফাঁসি, যা বললেন স্বজনরা


প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৫

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৬

ছবি: সংগৃহীত

কয়েক ঘণ্টা পর ফাঁসি, অধ্যাপক তাহের হত্যার ৪ নম্বর আসামি ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনেরা। গ্রামের বাড়ির মসজিদের সামনে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশেই দাফনের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন।

মহিউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের লোকজন পাথর হয়ে আছেন। তার শতবর্ষী বৃদ্ধা মা কানে একদমই শোনেন না। তিনি এখনও জানেন না যে তার ছেলে একদিন পরেই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলবেন। পরিবারের কেউ তাকে কিছু বুঝতে দিচ্ছেন না। তার বাড়িতে কোনো সংবাদকর্মী বা কোনো আত্মীয়স্বজনের সমাগম দেখলেই তিনি জানতে চান কি জন্য এসেছেন আপনারা। হয়তো মা খবর শুনলে স্ট্রোক করতে পারেন, এ জন্যই তাকে কিছুই জানানো হচ্ছে না বলে জানান তার ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মহিউদ্দিনের সঙ্গে কারাগারে শেষ দেখা করেন মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। তার সঙ্গে শেষ কথা কি হয়েছে এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শেষ দেখা করার জন্য সময় দেন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় আমরা সেখানে দেখা করেছি পাঁচজন। মহিউদ্দিনের স্ত্রী, ভাই আরজু মিয়া, বোন রিনা বেগম, আমি চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া, আরেক চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া।

তার সঙ্গে শেষ কথা কি হয়েছে তার উত্তরে মহিউদ্দিন বলেছেন, অধ্যাপক তাহের ছিলেন আমার বাপের সমতুল্য। তিনি আমাকে হাতে গড়িয়ে মানুষ করেছেন। প্রায়ই আমি তার বাজার করে দিতাম। তার হত্যাকাণ্ডে আমি নির্দোষ, আমি কিছুই জানতাম না। আমি ন্যায় বিচার পেলাম না, আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিলাম। তার স্ত্রীকে বলেছেন, যেহেতু এ দেশে ন্যায় বিচার পেলাম না, জায়গা জমি বিক্রি করে আমার ছেলে-মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যেও।

মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আরজু মিয়া বলেন, আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার ভাই ৪ নম্বর আসামি ছিলেন ১ নম্বর ও দুই নম্বর খালাস পেল অথচ আমার ভাইয়ের ফাঁসি বহাল থাকল। আমার ভাই নির্দোষ ছিল বিধায় মামলা সম্পর্কে কোনো গুরুত্ব দিইনি। আমার ভাই ভেবেছিল- অন্যায় করি নাই ইনশা আল্লাহ খালাস পাব। আমার ভাইয়ের রোষানলে পড়ে ফাঁসি হলো। আমার ভাইয়ের বিচার পরকালে পাব।

তিনি আরও বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে সেই চিঠি বাড়ি নিয়ে খুলতে বলেছিলেন, আমরা গাড়ির মধ্যেই চিঠি খুলে দেখেছি, ভেতর লেখা রয়েছে ২৭ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হবে। আমরা লাশ অ্যাম্বুলেন্সে পাঠিয়ে দেব, আপনারা শুধু অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দিয়ে দিয়েন।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top