ঘোড়াঘাটে প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ মহিলা কাউন্সিলরের
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ১নং প্যানেল মেয়র তথা ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদের মিয়ার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টায় পৌরসভায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন (৭,৮,৯) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা সিদ্দিকা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় ও ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বলেন, আমি ঘোড়াঘাট পৌরসভার দুইবারের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর (৭,৮,৯) হিসাবে ন্যায় নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারী প্রতিনিধিদের অনেক সময় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। যৌন হয়রানি এমনকি ধর্ষণের শিকার পর্যন্ত হতে হয়। তারপরেও নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য মুখ বুজে মেনে নিয়ে জনসেবার জন্য কাজ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের পৌর পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (১ নং প্যানেল মেয়র) আমাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে পৌরসভায় একা পেলে তার লালসা পূরণের জন্য আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত এবং সুযোগ বুঝে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিত। আমি মুখ বুঝে সহ্য করতাম এত সম্মানের ভয়ে কারো কাছে কিছু বলতেও পারতাম না।
গত ২১ জানুয়ারি আব্দুল কাদের মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় সেই সুযোগে তার যৌন লালসা পূরণের জন্য বেলা আনুমানিক ১২ টার পর থেকে কল করে আমাকে তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি না যাওয়ার জন্য জীবনের ভয়ে নানা অজুহাত দেই। এই নারীলোভী নরপিচাশের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবার জন্য কৌশলে ফোনের কল রেকর্ড করি।
ফোনে কথা বলার পরেও আমি তার বাসায় যাইনি। তখন সে আমার অবস্থান বুঝতে পেরে পৌরসভায় আসে। আমি একা কাউন্সিলরদের কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় আমাকে পিছন দিক থেকে ঝাপটা দিয়ে ধরে। আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে মেয়র মহোদয়কে মৌখিক ভাবে অবগত করে বাড়িতে চলে যাই। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে ২৩/০১/২০২৩ তারিখে মেয়র মহোদয়কে লিখিত অভিযোগ দেই এবং ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করি।
ঘটনার বিষয়ে আসামীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি, আমরা আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
আরপি/এসআর-০৩
বিষয়: যৌন হয়রানি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: