রং নম্বরে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে তরুণীর সর্বনাশ

মুঠোফোনে রং নম্বরে কলের সূত্রে পরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। কেটে যায় দীর্ঘ নয় মাস। পরবর্তীকালে বিয়ের আশ্বাসে নরসিংদী থেকে পঞ্চগড় গিয়েই সর্বনাশ হয়েছে তরুণীর। কথিত প্রেমিক ও সহযোগীদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।
ওই ঘটনায় গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের বোদা থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কথিত প্রেমিক ও উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে আব্দুল মালেক (২৫), প্রসাদ খাওয়া এলাকার রাহুলের ছেলে আপন (২৫), একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) ও বামনপাড়ার গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাকিরা এখনও পলাতক।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রং নম্বরে পরিচয়ের মধ্যমে অভিযুক্ত আব্দুল মালেকের সঙ্গে প্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ওই তরুণী। এরপর ৯ মাস এই সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পর প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নরসিংদী থেকে পঞ্চগড়ের বোদায় ছুটে আসেন ওই তরুণী। এরপর কথিত প্রেমিক মালেক বন্ধু আলমগীরের সহযোগিতায় ওই তরুণীকে উপজেলার প্রসাদ খাওয়া এলাকায় একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীকালে আশরাফুল ও আপন নামে আরও দুইজন সেখানে আসে। তবে ওই বাড়িতে অন্যকেউ না থাকায় তরুণীর বিষয়টিতে সন্দেহ হলে সে ওই বাগিতে থাকতে রাজি হয় না। ওই সময় রাতেই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় প্রেমিক মালেক। পরে ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরও দুই থেকে তিনজনকে পাহারায় রেখে মেয়েটিকে একটি আমবাগানে নিয়ে যায় তারা। এরপর মালেক, আপন ও আশরাফুল তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটির আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা টর্চলাইট নিয়ে বাগানে এলে অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানিয়েছেন, বিয়ের প্রলোভনে নরসিংদী থেকে ওই তরুণী পঞ্চগড় আসে। পরে গণধর্ষণের শিকার হলে থানায় মামলা করে। ওই ঘটনায় ইতোমধ্যেই মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মালেক ও তার সহযোগী ইজিবাইকচালক আলমগীরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনার খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা থানায় আসলে ওই তরুণীকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরপি/এসআর-০৫
বিষয়: প্রেমের সম্পর্ক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: