যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন : সভাপতি-সম্পদক পদে এগিয়ে জুয়েল-বিজু
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিঠু, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন ও ইমামুল কবির। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এটি পুরাতন খবর। নতুন খবর এই, কে কে হচ্ছেন এই কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ৬ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন । এ লক্ষ্যে ২৬ জুলাই বিদায়ী সভাপতি আসাদুজামান মিঠুকে আহবায়ক, বিদায়ী সম্পাদক নূরে সিদ্দিকী মিলন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবীরকে যুগ্ম আহবায়ক করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় নেতৃত্বে আসতে আগ্রহীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের কর্মীদের মাঝে। এতদিন যশোর ছিল স্বেচ্ছাসেবক লীগের দূর্বল ঘাটি। এটি উদঘাটন করে কেন্দ্রীয় নতুন নেতৃত্ব সবল করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
সূত্র জানায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পছন্দে রয়েছেন করোনায় যশোরের মানবতার যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও লুৎফুল কবীর বিজু। আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিঠু’ও সভাপতি থাকতে চান আর একটি মেয়াদ। এমন জনশ্রুতিও রয়েছে। চলছে তার কেন্দ্রে দেন দরবার। ২০০৬ সালে সর্বশেষ যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হয়েছিল। দীর্ঘ ১৬ বছরেও সম্মেলন না হাওয়ায় হতাশা ছিল। গত ২৮ জুন যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। ৬ সেপ্টেম্বর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়।
সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় পদ প্রত্যাশী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তারা ‘নিজ নিজ ফোরামে’ তাদের প্রার্থীতা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। অনেকে প্রার্থী হবেন কিনা; হলে কোন পদে তা নিয়ে আলোচনায় মত্ত্ব। চলছে চুলচেরা নানান বিশ্লেষণ। নেতাকর্মীরা জানায়, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। দুই-একজন আনুষ্ঠানিক প্রচার করলেও অনেকের প্রচারণা সেভাবে জোরেশোরে নেই। এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মিলন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ।
সাধারণ সম্পাদক পদে শরীফ মাসুদ হিমেল প্রার্থী হচ্ছেন বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের শহর শাখার আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান সুমন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে শরীফ হিমেল মাসউদ জানান তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রার্থী হতে এখন আর আগ্রহী নন। তিনি যুবলীগ অথবা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন।
বিদায়ী সভাপতি আসাদুজামান মিঠুর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তার পক্ষের কে কে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন। তবে বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নুরে আলম মিলন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে চান বিদায়ী সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল কবীর। তবে মিলন ও ইমামুল কবীর প্রার্থী না হলে তাদের আস্থাভাজন সংগঠনের শহর শাখার আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান সুমন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন।
তবে এখন পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা ছাত্রলীগের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের কাছে ক্লিন ইমেজের। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ বলেন, ছাত্ররাজনীতি করার পর দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করে আসছি। একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার উপর আস্থা রাখবেন বলে বিশ্বাস রয়েছে।
সম্মেলন প্রুতি কমিটির আহবায়ক সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজামান মিঠু জানান, নির্ধারিত তারিখে সম্মেলন হবে। যারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে জনগণের জন্য নিবেদিত হবেন, তারাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে আসুক। এটা আমার চাওয়া।
আরপি /এএসডি-১৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: