ইন্সপেক্টরের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়া সেই নারী কনস্টেবল প্রত্যাহার

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)-এর কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়া সেই নারী পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি প্রদীপ কুমার দাসের কক্ষে রাতের বেলা কী কারণে গেলেন এ মর্মে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সিলেট এসএমপি’র উপ-কমিশনার (পিওএম, প্রটোকল এন্ড প্রটোকল ও অতি: প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই নারী কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ওই নারী কনস্টেবলের (নং-১৭৭৩) ৬ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি বাতিল করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের। এর আগে, ঘটনায় জড়িত কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করে সিলেটের পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেছিলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে আদালতে নিজ কক্ষে নারী কনস্টেবলের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস।
সূত্র জানায়, ছুটিতে থাকা ওই নারী কনস্টেবলকে রাতের অন্ধকারে কোর্ট বিল্ডিংয়ে নিজ কক্ষে ডেকে আনেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস। রাত ৯টার দিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের কক্ষের দরজা খোলা এবং ভেতরে আলো নেভানো দেখে অন্য পুলিশ সদস্যরা সেই কক্ষে ঢোকেন। এসময় আলো জ্বালালে দুইজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ক্লোজড করা হয় প্রদীপকে।
আরপি/এসআর-০৩
বিষয়: নারী কনস্টেবল আপত্তিকর অবস্থা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: