আট বছর পালিয়ে থেকেও রেহাই পেলেন না দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে র্দীঘ আট বছর পলাতক থাকা দুই বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু হাসান কবিরের নেতৃত্বে এএসআই রাখিমুজ্জামান রানা মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার নয়াগাঁও গ্রাম হতে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আইমিদ্দিন (৬৫) কে গ্রেফতার করে। তিনি ঘোড়াঘাট উপজেলার রুপসীপাড়া (ভেকসি) গ্রামের মৃত কিসমতুল্লাহর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালে আসামী তার প্রতিবেশী বন্ধু মোজাহার আলী প্রধান ওরফে মোজাকে তার মালিকানাধীন ৪২ শতক জমি বিক্রির প্রস্তাব দিলে চার লক্ষ বিশ হাজার টাকা চুক্তি হয়। মোজা উক্ত জমি ক্রয় বাবদ আসামীকে নগদ চার লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে জমি রেজিষ্ট্রিকালে দেখতে পান জমিতে ৪২ শতক এর পরিবর্তে ৩৬ শতক লেখা আছে। তখন তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্ষায়ে আসামী কৌশলে জমিটি তার ছেলে মেয়ের নামে লিখে দিয়ে নিজে নিজেই একই বছরের ১৮ মার্চ আত্বগোপনে যান।
তখন আসামীর ছেলে আজিজ বাদী হয়ে মোজাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা রুজু করে। পরবর্তীতে মোজা প্রধান বাদী হয়ে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। যা বিচার শেষে আসামীর ২ বছরের সাজা হয় এবং মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
ঘোড়াঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, মোজাহার আলী প্রধান ওরফে মোজা প্রধান এর নিকট হতে ২০১৩ সালে ৪২ শতক জমি বিক্রির কথা বলে নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে কৌশলে জমি মোজাহার আলী প্রধান ওরফে মোজা প্রধানকে লিখে না দিয়ে তার ছেলে মেয়ের নামে লিখে দিয়ে নিজে নিজেই আত্বগোপন করে। তিনি ঘোড়াঘাট থেকে পালিয়ে প্রথমে বগুড়া পরে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার কাশিনাথপুর এলাকায় অবস্থান করেন।
সেখানে থাকাকালীন বাকুটিয়ার চর, দৌলতপুর থানা, মানিকগঞ্জের লোকজনের সাখে পরিচয় হয়।পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামী কিছুদিন পর বাকুটিয়ার চর, দৌলতপুর থানা, মানিকগঞ্জে চলে যায়। সেখানে অবস্থানকালে আসামী মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চরহাট্টা গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে আজিজা খাতুনকে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী বাকুটিয়ার চর বসবাস শুরু করে। আমরা টেকনোলজি পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে গ্রেফতার করি এবং বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করি।
আরপি/এসআর-১৮
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: