অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় রওনা, কাউন্টারেই ধর্ষণের শিকার কিশোরী
মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে গিয়ে বাস কাউন্টারেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৬)। পরে তার মা বাদি হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনা গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজার এলাকার। গত সোমবার (১২ জুলাই) এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় থানায় মামলা করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বালুয়া বাজার গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার ওই কিশোরী তুচ্ছ ঘটনায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে। সে গত সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ওই কিশোরী ঢাকা যাওয়ার জন্য সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে যায়। সে বালুয়া বাজারে অবস্থিত শাওন এন্টার প্রাইজ নামে একটি বাস কাউন্টারের সামনে হাটাহাটি করছিল। এ সময় বাস কাউন্টার মাস্টার বকুল প্রধান ও স্থানীয় কসাই লাল মিয়া কিশোরীর কাছে এগিয়ে যান। পরে এখানে আসার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে কিশোরী। এ সময় বকুল ও লাল মিয়া কিশোরীকে জানায়, লকডাউনে বাস বন্ধ। তবে মাইক্রোবাসে ঢাকা যাওয়া যাবে। ঢাকা যাবার ব্যবস্থা করার কথা বলে তাকে বাস কাউন্টারে বসানো হয়।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, তাদের কথামতো দীর্ঘ সময় কাউন্টারেই বসেছিল ওই কিশোরী। রাত আটটার দিকে তারা কিশোরীকে বাথরুম সেরে নেয়ার কথা বলে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যান তারা। পরে এলাকাবাসী কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এ ঘটনায় বকুল ও লাল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে থানায়। মামলার আসামী লাল মিয়া (৩৫) রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের পারবর্তীপুর গ্রামের কসাই এবং একই ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের বকুল প্রধান (৪০)। এদের মধ্যে লাল মিয়া পেশায় মাংস বিক্রেতা (কসাই) আর বকুল বাসের কাউন্টার মাস্টার।
বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরীর মায়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
আরপি/আআ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: