রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


হারিয়ে যাওয়া গরু জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে খেলেন মেম্বার


প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২১ ০৩:২১

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৭:০৮

ছবি: সংগৃহীত

গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে গরুর ট্রান্সপোর্ট থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি ষাঁড় গরু এক ইউপি সদস্য তার লোকজন নিয়ে জবাই করে মাংস ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আ. গফুর খান (গফ্ফার)। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গত ১৩ মে রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলহাট ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫নং ফেরি ঘাট এলাকায় নদী পার করার জন্য নসিমনযোগে ২০টি গরু নিয়ে আসেন। এ সময় ১টি গরু ঘাট ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের অগোচরে হারিয়ে যায়।

কালো রংয়ের ক্রস ষাঁড় গরুটির মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে গরুটি ওই রাতে খুঁজে না পাওয়ায় পরদিন ভোরে আবার খুঁজতে বের হন ঘাট ইজারাদার খবির মণ্ডল, আমজাদ মণ্ডল, মোকছেদ মণ্ডল, বাবু মণ্ডল, হামিদ আলী বেপারি, মুসা মণ্ডল ও ঘাট ম্যানেজার শহীদসহ কয়েকজন।

তারা দৌলতদিয়ার ৭নং ওয়ার্ডের আংকের শেখের গ্রামে গাফফার মেম্বারের নেতৃত্বে হারিয়ে পাওয়া একটি গরু জবাই করে মাংস কাটা হচ্ছে বলে খোঁজ পান এবং সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পান। সেখানে তারা উপস্থিত হলে মাংস কাটতে থাকা লোকজন তড়িঘড়ি করে বাড়ির ভেতরে সমস্ত মাংস ও গরুর চামড়া সরিয়ে ফেলেন। তবে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন- এই গরুটি তারা নদীর কাছে পেয়েছেন।

ট্রলার ঘাটের ইজারাদার খবির মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাফফার মেম্বারের নেতৃত্বে গরুটি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিতে দেখি। পরে তারা নিজেরাই গরুটি নদীর পাড় হতে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী মেম্বার বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আব্দুল গাফফারের উচিত ছিল গরুর মালিকের খোঁজ করা। কিন্তু তিনি তা না করে গোপনে তার লোকজন নিয়ে গরুটি জবাই করে মাংস ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। এটা খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল গাফফার মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে মীমাংসা করে নেব। গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের পরামর্শে তারা গরুটিকে জবাই করেন বলে তিনি দাবি করেন। তারা সবাই মিলে গরুটির ন্যায্যমূল্য পরিশোধ করবেন বলেও জানান।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, এ বিষয়ে গরুর মালিক বাদী হয়ে আব্দুল গাফফার মেম্বারকে প্রধান করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরপি / এমবি-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top