রাজশাহী শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র ১৪৩১


প্রেম করে বিয়ে, তিন মাসের মাথায় স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার


প্রকাশিত:
৭ মে ২০২১ ১৭:৪১

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৩

প্রতিকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে ফাতেমা আক্তার মুন্নি (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে নিহতের মা খায়েরুন নেছা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মো. জিহাদকে (২২) আটক করে পুলিশ।

নিহত ফাতেমা আক্তার মুন্নি নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসুদনপুর এলাকার আহসান উল্যার মেয়ে। আটককৃত জিহাদ ছয়ানী ইউনিয়নের উত্তর নয়নপুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নোটারী করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জিহাদ ও মুন্নি। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারের সাথে থাকতেন মুন্নি। কিছুদিন পর থেকে একটি অটোরিকশা কিনে দিতে মুন্নিকে চাপ দিতে থাকেন জিহাদ।এনিয়ে মুন্নিকে বেশ কয়েকবার শারীরিক নির্যাতনও করেন তিনি। এর সূত্রধরে বুধবার (৫ মে) দিবাগত রাতের কোনো একসময় নিজেদের শয়নকক্ষে মুন্নিকে গলাটিপে হত্যা করে জিহাদ।

নিহতের মা খায়েরুন নেছা জানান, সাহরির সময় জিহাদের মা জোসনা বেগম ভাত খাওয়ার জন্য মুন্নিকে ডাকতে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিষয়টি আমাদের মোবাইলে জানায়। খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে মুন্নির মরদেহ খাটের ওপর দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবগত করি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে জিহাদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত জিহাদকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মুন্নিকে গলাটিপে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। শুক্রবার (৭ মে) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

আরপি / এমবি-৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top