রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


স্ত্রীকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রেখে চলে গেলেন আশিক


প্রকাশিত:
২৯ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪১

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২১ ২১:৪২

 

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত নবদম্পতির মধ্যে আশিকুজ্জামান খান মারা গেছেন।

বুধবার মধ্যরাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছয়দিন ধরে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন আশিক।

ওই আগুনে দগ্ধ আশিকের নববধূ ইসরাত জাহান মুনা এখনও আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

গত শুক্রবার আরমানিটোলায় আবাসিক ভবনের নিচে থাকা রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন ওপরের আবাসিক ফ্ল্যাটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পাঁচজন বাসিন্দা নিহত হন। দগ্ধ হন অন্তত ২৫ জন। আশিককে নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৬ জনে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশিক ও মুনা দুজনের শরীরেই ধোঁয়া প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের শ্বাসনালি। এরপর থেকে দুজনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে স্ত্রীকে রেখেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন আশিক।

মুনা সরকার ও তার স্বামী আশিকুজ্জামান খানের বিয়ে হয় মাত্র মাস দেড়েক আগে। মুনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আশিকুজ্জামান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ছিলেন।

খালার বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন আশিকুজ্জামান। শ্বশুরের বাসায় এসেছিল বুধবার রাতে। ওই রাতে লাগা আগুনে আশিক-মুনা ছাড়াও মুনার বাবা ইব্রাহীম সরকার, মা সুফিয়া বেগম, ভাই জুনায়েদ সরকার দগ্ধ হন। ঘটনার রাতেই ফ্ল্যাট থেকে মুনার ছোট বোন কলেজছাত্রী সুমাইয়ার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই আগুনে এখনও মুনাসহ তিনজন আইসিইউতে চিকিৎধীন রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে মুনার বাবা ও ভাইসহ ১১ জন চিকিৎসাধীন।

ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ভবন মালিক মোস্তাক আহমেদ চিশতিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। র‍্যাব রাসায়িনেক দুই গুদাম মালিককে গ্রেফতার করলেও মূলহোতা মোস্তাক এখনও অধরা।

 

 

আরপি / আইএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top