রাজশাহী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


শাশুড়ির সহযোগিতায় গৃহবধূ ধর্ষণ


প্রকাশিত:
২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৯:০১

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৯:০২

প্রতিকী ছবি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধু আজমিনা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলার পর বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানানো হয়েছে, মামলা দায়েরের ৫দিনের মাথায় গত ২৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ঘাগটিয়ার কাইকর পাড়ায় বাদীর ঘরের টিন কেটে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত।

মঙ্গলবার রাতে নিহত গৃহবধুর পিতা আব্দুল্লাহ বলেন, আমার মেয়ে ধর্ষণ ও হত্যকাণ্ডের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মুখ না খুলতে কারাগারে থাকা আসামিদের পক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আসামিরা গ্রেফতারের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে মদদ দিচ্ছেন কেউ কেউ। মামলা তুলে নিতে তারা হুমকি স্বরূপ আমার বাড়িতে রাতে হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি।

প্রসঙ্গত,গত ২০ এপ্রিল রাতে উপজেলার জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক শাহনূরের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী আজমিনা আক্তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

এ ঘটনার পরদিন বুধবার সন্ধায় নিহত আজমিনার পিতা উপজেলার ঘাগটিয়া কাইকর পাড়ার কৃষক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন বৃহস্পতিবার প্রমাণ সাপেক্ষ তিনজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব -৯ সিলেট, সিপিসি সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের গোয়েন্দা টিম।

গ্রেফতারকৃত উপজেলার জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে প্রধান আসামি গোলাপ মিয়া, তার সহযোগী একই গ্রামের একরাম মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া, আমিরুল ইসলামের স্ত্রী নিহত আজমিনার শাশুড়ি হেলেনা বেগমকে শুক্রবার সন্ধায় থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব। তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন আসামি গোলাপ।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ মিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে সহযোগিতা করতেন নিহত আজমিনার শাশুড়ি। তাকে ডেকে এনে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করাত। ছেলে কৃষক শাহনুর মিয়া কৃষি শ্রমিক হিসাবে বাহিরে কাজ করতে গেলে গোলাপ মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনতেন আজমিনার শাশুড়ি হেলেনা বেগম।

শনিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালতে (সুনামগঞ্জ,তাহিরপুর জোন) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির পর গোলাপ ও তার সহযোগী সোহাগকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক।

অপরদিকে শনিবার নিহতের শাশুড়ি হেলেনা বেগম মুচলেখা রেখে অদৃশ্য কারণে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আরপি/ এসআই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top