রাজশাহী শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র ১৪৩১


একটু খানি বাঁচতে দিন, দোকান পাট খুলতে দিন


প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২১ ০০:৫৮

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৬

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়-চকবাজার সড়ক অবেরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

স্বাস্থবিধি মানবো, দোকান পাট খুলব। অবৈধ লকডাউন মানি না, মানবো না। আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে। একটু খানি বাঁচতে দিন, দোকান পাট খুলতে দিন। এসব বলে স্লোগান দেন ব্যবসায়ীরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শহরের শতশত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, কুমিল্লায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার সঙ্গে প্রায় এক লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। গত বছর ২০২০ সালে সাধারণ ছুটির কারণে অনেকগুলো উৎসবে ব্যবসা চালু রাখতে পারেননি তারা। এতে অনেকে ঋণ করে কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন, অনেকে বাধ্য হয়ে কর্মচারী ছাঁটাই করেছেন। ওই ক্ষতি না পুষিয়ে উঠতেই পুনরায় লকডাউন দেওয়ায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন তারা।

তাদের দাবি, সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে মার্চ মাসের শুরুতে সরকার তাদের সতর্ক করতে পারত। কিন্তু কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই সরকার আকস্মিক সিদ্ধান্ত দেওয়াতে পথে বসতে হচ্ছে তাদের। সামনে পয়লা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর। এসময় সীমিত পরিসরে ব্যবসা চালু রাখার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, খন্দকার হক টাওয়ারের সভাপতি আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সদস্য রিয়াজ উদ্দিন।

কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, আমরা চাই সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট খোলা রাখতে। সরকার যেহেতেু সীমিত পরিসরে অনেক কিছু খোলা রেখেছে, দোকানপাট খোলা রাখতে সমস্যা কোথায়? আমাদের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা বেশ সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে রাস্তায় গিয়ে বসে থাকব, আর ঘরে ফিরব না।

পরে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ স্থানীয় এমপি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের কার্যালয়ে যান। এমপি বাহার আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বৃহস্পতিবারের পরে ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কি বলে শুনব। না হলে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

আরপি / এমবি-৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top