রাজশাহী শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


এক বাল্ব ও এক ফ্যানের বিল পৌনে ৫ লাখ টাকা


প্রকাশিত:
৩১ মার্চ ২০২১ ১৫:৩৪

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ২০:৫৬

বাল্ব ও ফ্যান

মাগুরার মহম্মদপুরে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বসতবাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি বাল্ব ও একটি ফ্যানের বিল এসেছে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা।

পবিত্র কুমার বিশ্বাস উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের মৃত শ্রীপতি বিশ্বাসের ছেলে। মার্চ মাসে ওই বাড়িতে পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ এক মা ছাড়া কেউ ছিলেন না। মার্চ মাসে একটি বাল্ব ও একটি ফ্যান চালিয়ে বিলম্ব বিলসহ এসেছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা।

জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার অধিকাংশ মিটারে আগরে তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি বিল আসছে। বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়ে কোনো ফল পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এর ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে হতাশায় রয়েছেন তারা। মিটার না দেখে আনুমানিকভাবে বিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

পবিত্র কুমার বিশ্বাসের বৃদ্ধ মা মিরারানী জানান, গত জানুয়ারি মাসে ৩৫০ টাকা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৩ টাকা বিল এসেছে। কিন্তু মার্চ মাসে চার লাখ ৭৩ হাজার ৭৫১ টাকা বিলের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিটার না দেখে অনুমানের ওপর নির্ভর করে বিল করেছে বিদ্যুৎ অফিস।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বকেয়া বিল নেই। আমার বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ থাকে না। বাড়িতে একটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ, একটি পানি তোলার মোটর, দুইটি লাইট এবং টেলিভিশন ব্যবহৃত হয়। আমার তিন ছেলে সবাই বাইরে থাকে। এমন বিল দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ছেলেদের জানালে তারাও হতবাক হয়ে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। এর আগে গত ছয় মাস আগে একটি বিলে ১৫শ' টাকা এসেছিল। সেই টাকা আমি অনেক কষ্টে পরিশোধ করি।

স্থানীয়রা জানান, আমরা এই ভুতুড়ে বিল দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছি।

মহম্মদপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, এটা তেমন কিছু না, কম্পিউটারে পোস্টিং দেওয়ার সময় ভুল হয়েছে, বিলের কপি নিয়ে আসলে ঠিক করে দেওয়া হবে।

 

 

আরপি / আইএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top