রেলকর্মীকে বেধড়ক পেটালেন আ.লীগ নেতা

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা বিরুদ্ধে শহিদুল ইসলাম (৭০) নামে এক রেলকর্মী বেধড়ক মারপিট ও দাড়ি উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ খান রনি (৩৫) ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের এ অভিযোগ করেছেন রেলওয়ের কর্মচারী শহিদুল। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির।
শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা বলেন, কুষ্টিয়া মিলপাড়ায় কাজ করার সময় ওয়াহেদ খান রনিসহ কয়েকজন পূর্বশত্রুতার জেরে বাবাকে মারপিট করেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা বাদী হয়ে ওয়াহেদ খান রনিসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে ওয়াহেদ খান রনি, আনোয়ার হোসেন, রাজা, সোহেল রানা, নুর আলম, রুস্তম, সুজন কানা, লিটন ও রিপনসহ আরও ১৫-২০ জন পূর্বশত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহিদুলকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ওয়াহেদ খান রনিসহ দুজন রেলকর্মীর বুকের ওপর উঠে লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানাসহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে বাকি বিবাদীরা তাদের মারধর করেন।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা রনি আমাকে মারধর করেছেন। এমনকি আমার দাড়ি উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে ওয়াহেদ খান রনির সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আরপি / এমবি-৭
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: