ফেসবুকে পরিচয়, ঘুরতে নিয়ে দুই কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা সেতুর জশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে দুই কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে লৌহজংয়ের যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লৌহজং উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের উত্তর যশলদিয়া গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে অমায়িক (২৩), একই গ্রামের মৃত রহিম শেখের ছেলে রনি শেখ (২৪), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাদবরকান্দির চাঁন মিয়া শেখের ছেলে জীবন শেখ (২৫), শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামের মো. মাসুদ আলী শেখের ছেলে আদনান (১৯), মৃত শাকিব হোসেনের ছেলে কাইফি মীর (২২) ও মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া গ্রামের আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে রবিন (২৬)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী দুই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের ষষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণির দুই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় আদনান ও রিফাত নামের দুই যুবকের। কিছুদিন পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে নিয়ে যান দুই প্রেমিক। ঘোরাঘুরি শেষে গভীর রাতে যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের একটি ঘরে দলবেঁধে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
বুধবার সকালে দুই কিশোরী কেরানীগঞ্জের বাসায় যান। পরে দুই কিশোরীর পরিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানায়। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লৌহজং থানায় বিষয়টি জানালে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত আরেক অভিযুক্ত সোহেল (২৪) পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরপি / এমবি-৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: