বন্যায় প্লাবিত নারায়নপুর, আর্থিক ক্ষতিতে কৃষকরা
হঠাৎ করেই ফুঁসে উঠছে পদ্মা নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে নদীর পানি একাধারে বাড়তে বাড়তে এক ভয়াবহ অবস্থা। চারিদিকে পানি আর পানি। নিচু ও সমতল সব পানিতে ডুবে সমান। জমির কলাই এর ১০০ ভাগই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তাই হাত পড়েছে গরিব কৃষকের মাথায়।
এলাকার মানুষের অভিযোগ তারা বলেন, নারায়নপুর বাশিন্দারা ভোট দিয়ে মেম্বার, চেয়ারম্যান এবং এমপি নির্বাচিত করলেও পাইনি তাদের সাহায্যের হাত। তারা আরও বলেন, " ভোটের সময় আসলে তারা ঘুরে ঘরে ঘরে, ভোট পেরুলেই দ্যাখা দেয়না সাধারণ মানুষের তরে।"
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এদিকে পদ্মার পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মানুষের মাঝে আতঙ্কও দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় একযোগে পানি নামছে পদ্মা নদীতে।
প্রতি তিন ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। যে গতিতে পানি বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে।
এরই পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। জানা গেছে, ভারতের ফারাক্কার সব গেট এক সঙ্গে খুলে দেয়ায় দেশে পদ্মার পানি ফুঁসে উঠছে। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গঙ্গা নদীর পানি সমতলে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে পাংখা, রাজশাহীতে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার, ২২ সেন্টমিটার ও ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর কারণে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পয়েন্টে বাড়ছে। তবে এখনও তা বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তারা জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধির কারণে কিছু কিছু নিচু এলাকা হয়ত নতুন করে প্লাবিত হতে পারে। এর প্রভাব সব এলাকায় পড়বে না।
আরপি/ এমএএইচ
বিষয়: আর্থিক ক্ষতি বন্যা নারায়নপুর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: