ভোলাহাটে স্বতঃস্ফুর্তভাবে বাস্তবায়ন হলো কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন

সারাদেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন কঠোর ভাবে বাস্তবায়নে লক্ষ্যে ভোলাহাটে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি। সেই সাথে দিনভর বৃষ্টিতে লকডাউন বাস্তবায়নে আরো কার্যকর ভুমিকা রেখেছে। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেহেদি ইসলাম ও ভোলাহাট থানা ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সরাসরি উপজেলার হাট বাজার, রাস্তায় নেমে তদারকি করেছেন। ভোলাহাট থানা পুলিশ ও বিজিবির দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যগন লকডাউন কার্যকরে দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া খুব কম সংখ্যক রিক্সা ভ্যান, জরুরি পরিসেবার যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। বন্ধ আছে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও বিপনী বিতান। তবে কাঁচাবাজার গুলোতে স্বাস্ত্যবিধি মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেচা-কেনা চলছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেহেদি ইসলাম জানান, সারা দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সাত দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সারা দেশের মত ভোলাহাটেও বৃহস্পতিবার থেকে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী উপজেলার সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালীন ভোলাহাট উপজেলার আভ্যন্তরীণ সকল রুটে এবং আন্তঃজেলা বাস, ও সকল প্রকার গণপরিবহনসহ সিএনজি, ভ্যান, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, হিউম্যান হলার বন্ধ থাকবে। তবে রোগী পরিবহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা থাকবে। তবে সকল ধরনের দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। তিনি আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় নিয়ম ভঙ্গকারিদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও সর্তক করা হয়।
আরপি/এসআর-২১
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: