শয়তানের সবচেয়ে বড় শত্রু কারা?
মহান আল্লাহ মানবজাতি সৃষ্টি করলেন, তাদের অন্য সৃষ্টির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করলেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আদম-সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি; স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি; তাদের উত্তম জীবিকা দান করেছি এবং আমি যাদের সৃষ্টি করেছি, তাদের অনেকের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭০)
এই সম্মান এই শ্রেষ্ঠত্ব শয়তান মেনে নিতে পারেনি। তাই মানবজাতিকে সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা থেকে টেনে নামাতে শয়তান আবহমানকাল থেকেই অবিরাম অহোরাত্র নানা রকম চেষ্টা করেছিল, করে যাচ্ছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত করে যাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি (আল্লাহ) বললাম, তোমরা (একে অপরের) শত্রুরূপে (দুনিয়ায়) নেমে যাও, পৃথিবীতে কিছু কালের জন্য বসবাস ও জীবিকা রইল।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৩৬)
উপরোক্ত আয়াত থেকে বোঝা যায়, আদমসন্তান ও শয়তানের মধ্যকার শত্রুতা পূর্বসূত্রে ও সার্বকালীন।
আরও পড়ুন: চোখ বন্ধ করে নামাজ আদায় হবে কি?
শয়তান আদমসন্তানের ইমান ও আমলভেদে তাদের সঙ্গে শত্রুতাচরণ করে। অর্থাৎ যার ঈমান-আমল যত বেশি সমৃদ্ধ ও সুন্দর সুবিন্যস্ত, শয়তান তত বেশি তার পেছনে লেগে থাকে।
এ ছাড়া এমন কতিপয় ঈমানদার বান্দা আছে, যাদের শয়তান নিজের বড় শত্রু ভাবে। ওহাব ইবনে মুনাব্বিহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শয়তানকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার দুশমন কারা? শয়তান বলল, ‘১৫ শ্রেণির লোক আমার (সবচেয়ে বড়) দুশমন।
১. সর্বপ্রথম দুশমন হচ্ছেন আপনি।
২. শান্তি ও সত্য প্রতিষ্ঠাকারী শাসক।
৩. বিনয়ী ও দানশীল ধনাঢ্য ব্যক্তি।
৪. সৎ ব্যবসায়ী।
৫. আল্লাহকে ভয় করে চলে—এমন আলেম।
৬. অন্যের জন্য কল্যাণকামী মুমিন ব্যক্তি।
৭. অমায়িক ও সহানুভূতিশীল মুমিন ব্যক্তি।
৮. যে ব্যক্তি তাওবা করে তাওবার ওপর অবিচল থাকে—সে ব্যক্তি।
৯. হারাম থেকে বিরত থাকে এমন ব্যক্তি।
১০. সর্বদা পাকসাফ থাকে এমন মুমিন।
১১. অত্যধিক দান-সদকাকারী।
১২. উত্তম চরিত্রের অধিকারী মুমিন।
১৩. পরোপকারী।
১৪. সর্বক্ষণ তিলাওয়াতকারী হাফেজ বা আলেম।
১৫. গভীর রাতে তাহাজ্জুত নামাজ আদায়কারী।
আরপি/এসআর-১৫
বিষয়: ইসলাম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: