রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১

নগরী এখন মশার দখলে


প্রকাশিত:
২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৫৫

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১১:৩৭

ছবি: প্রতীকী


রাজশাহীতে শীত পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু শীত এখনো পুরোটা আসেনি। এখনো পুরো শীত না পড়ায় মশার উপদ্রব কমেনি। দীর্ঘদিন মশা নিধনের ব্যবস্থা না করায় রাজশাহী নগরী এখন মশার দখলে। শুধু রাতেই নয় দিনের বেলায় মশার উৎপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। নগরীর ড্রেন ও আবর্জনার স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার প্রজনন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন নগরবাসী। তবে রাসিক কর্তৃপক্ষ বলছে অতিদ্রুত মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে

নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, নগরীতে শীত আসার আগেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উৎপাতে মানুষের কাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কয়েল ও মশারি টাঙিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার হাত থেকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অফিস, দোকানসহ বিভিন্ন জায়গায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। নগরীর ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করাসহ বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় মশার প্রজনন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন করা হচ্ছে।

এদিকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভাবের সময় মশা নিধনে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন। সে সময় মশক নিধনে কার্যক্রম পারিচালিত হতে দেখা গেলেও এখন আর দেখা যায় না। বাসা-বাড়ি, মেস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশার উপদ্রবের কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নগরীর সব মেস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্লাসে মশার কামড় হজম করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ জানান, মশার কামড়ে ক্লাসে বরাবরই মনোযোগ নষ্ট হয়।

এদিকে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের রোগীরাও। দিনের বেলাতেও বড় বড় মশার কামড়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন রোগী ও তার আত্মীয় স্বজনেরা। রাতের বেলা জরুরী বিভাগে গেলে দেখা যায়, মশারির পাশাপাশি কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাচ্ছেন সবাই। এরপরেও রাতের বেলা মশার কামড়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় বলে অভিযোগ করেন অনেক রোগীর স্বজন। সরকারী হাসপাতালের বাইরে বেসরকারী হাসপাতালেও একই অবস্থা।

এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, রাসিকের মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকে। বর্তমানে মশার প্রজননকাল চলছে। এজন্য নগরীতে মশার উপদ্রব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, মশা নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। মশা নিধনে শনিবার বিকেলে নগর ভবনে রাসিক মেয়র ফগান মেশিনের উদ্বোধন করবেন। নতুন ২০ টি ফগান মেশিন কেনা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ বছরের মশা মারা বিষ প্রয়োগ করা হবে। মাসব্যাপী ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ স্প্রে করা হবে। প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ওষুধ স্প্রে করা হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি করা হবে বলে জানান তিনি।

 

আরপি/ এমএইচ


বিষয়: মশা শীত


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top