রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


নাতি বৌয়ের হাত ধরে ভোট কেন্দ্রে অশীতিপর কমেলা বেওয়া


প্রকাশিত:
৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৪৫

আপডেট:
৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫৩

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকেন নি কমেলা বেওয়া (৮২)। নাতির স্ত্রী শিরিনা বানুর হাত ধরে এসে ভোট দিয়েছেন বাঘা পৌর নির্বাচনের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেন তিনি।

জানা যায়, বাঘা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক আহমদপুর গ্রামের বাসিন্দা কমেলা বেওয়া। বছর ২৫ আগেই তার স্বামী মারা গেছেন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কতবার ভোট দিয়েছেন তা বয়সের ভারে হিসেব নেই এই বৃদ্ধার। আর এভাবে কতবারই বা ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য পাবেন সেই প্রশ্ন রেখে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলেন তিনি। তার নাতি বৌ শিরিনা বানু একই গ্রামের চাচী শাশুড়ি রাবিয়া বেওয়া (৭০) ও স্বামী ইসরাফিলের বোন (ননদ) নাজমা বেওয়াকে (৬৫) সাথে নিয়ে ভোট দিতে আসেন। লাঠির উপর ভর করে তারা তিনজনই ভোট কেন্দ্রে আসেন।

ভোট প্রদান শেষে জানতে চাইলে কমেলা বেওয়া বলেন, জীবনে শেষ বয়সে এসে মেশিনের সাহায্যে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে। কারণ হিসেবে বলেন, এই বয়সে ভোট দিতে পারবো এমনটা কখনও আশা করি নি। তবুও আল্লাহ সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। বয়সের ভারে ঠিকভাবে কথা বলতে পারছেন না তিনি।

কমেলা বেওয়ার মতোই পৌরসভার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের ৮৫ বছরের বৃদ্ধ হামিদ মন্ডল এসেছেন ভোট কেন্দ্রে। নাতি রানা আহমেদের কাঁধে ভর দিয়ে ভোট দিতে আসেন তিনি। তিনি বলেন, জীবনে প্রথম ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আগামীতেও ভোট দিতে চান তিনি।

বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইজিং অফিসার ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার এমরান আলী বলেন, এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এই কেন্দ্রে তখন পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে ইভিএমের সেন্সর ঠিক মতো কাজ না করা, আঙুলের ছাপ না মেলায় এবং এনআইডি কার্ডের নম্বরের সঙ্গে ভোটার তালিকার নম্বরের মিল না থাকায় কিছুটা সমস্যা দেখা দেয় বলেও জানান তিনি।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top