রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


মাছের খামারে মিললো নৌকার ব্যালট


প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২২ ০৮:০৭

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৪৪

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চান্দিনায় পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একদিন পর নৌকা প্রতীকের সিল দেওয়া ব্যালট পেপার মাছের খামার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলার চান্দিনা উপজেলার ১ নম্বর সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দলপাড়া হারুন মিয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পাশ থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট পেপার উদ্ধার করে পুলিশ।

চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছি। আরও কিছু ছিল যা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এসব ব্যালট কিভাবে পানিতে গেল তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

ওসি আরিফুর জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারের প্রতিটি ‘নৌকা প্রতীকের উপর সিল’ দেওয়া ছিল।

ক্ষমতাসীন দলের নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার পানিতে পাওয়া এবং উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় চলছে।

নৌকা প্রতীক প্রার্থী ইমাম হোসেন সরকার বলেন, ‘ভোট গ্রহণের শুরু থেকে আমার লোকজনকে হয়রানি শুরু করা হয়। ভোট গণনার সময় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সুহিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩ নং ওয়ার্ড দলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে অন্তত সাড়ে ৩০০ ব্যালট পানিতে ফেলে ও বিভিন্নভাবে নষ্ট করা হয়েছে।’

সুহিলপুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী) আবু বকর ছিদ্দিক। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইমাম হোসেন সরকার পেয়েছেন ৩ হাজার ১২৫ ভোট।

পানিতে সিল মারা ব্যালট ফেলে নৌকা প্রতীককে পরাজিত করা করার বিষয়ে ফলাফল বাতিল চেয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন নৌকা প্রতীক প্রার্থী ইমাম হোসেন সরকার।

এদিকে পানিতে ব্যালট পাওয়ার খবরে ওই প্রার্থীর সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ফলাফল বাতিল ও পুনর্র্নিবাচন দাবি করেছে।

চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু বলেন, ‘৯টি ইউনিয়নে প্রশাসন ভোট ও ব্যালট কারচুপির মাধ্যমে ৯টি ইউনিয়নে নৌকাকে পরাজিত করেছে, এ বিষয়ে অনেক তথ্য প্রমান আমাদের হাতে আসছে। নৌকার ব্যালট পেপার পানিতে যাবে কেন ? ফলাফল বিদ্রোহীদের পক্ষে নিতে এসব করা হয়েছে। এসব বিষয়ে শিগগিরই লিখিতভাবে দলের হাই কমান্ডকে অবহিত করা হবে।’

সুহিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোট গণনার সময় সব প্রার্থীর এজেন্ট রাখা হয়েছিল। পানিতে কিভাবে ব্যালট পেপার গেছে তা আমার জানা নেই।’

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আহসান হাবীব জানান, ‘ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণার পর ব্যালট পেপারগুলো উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হয়, এটাই নিয়ম, কিন্তু কেন্দ্রের বাহিরে ব্যালট উদ্ধারের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্টরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

 

 

 

আরপি/এসআর-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top