রাজশাহী সোমবার, ১৪ই অক্টোবর ২০২৪, ৩০শে আশ্বিন ১৪৩১


নাটোরে ১৪শত মুরগি মারা যাওয়ায় নিঃস্ব খামারী


প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০২১ ০৩:২৪

আপডেট:
১৪ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫১

ছবি: প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে শেষ সম্বল খামারের ১৪শত মুরগি মারা যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে খামারী আবু সাঈদের। খাস জমিতে বসবাস করে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন খামারটি। কিন্তু সর্বনাশা রাণীক্ষেত রোগ তার সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। নিজের সব পুঁজি হারিয়ে বর্তমানে পাগলপ্রায় অবস্থা খামারী আবু সাঈদের। আবু সাঈদ উপজেলা জোয়াড়ী গ্রামের মৃত সামু ব্যাপারীর ছেলে।

জানা যায়, আবু সাঈদ ব্যাপারী জোয়াড়ী গ্রামে খাস জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি সেখানেই সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাকে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি ও পাঁচ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেখানেই তিনি মুরগীর খামার গড়ে তোলেন। খামারে মুরগীর বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছিল। হঠাৎ করেই গত কয়েক দিনে রোগাক্রান্ত হয়ে তার সমস্ত মুরগী মারা যায়। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি মরা মুরগীগুলোর পাশে বসে বিলাপ করছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারী আবু সাঈদ জানান, তিনি মোট এক হাজার ৫শত ৫০টি মুরগির বাচ্চা প্রতিটি ১২ টাকা দরে কিনে লালন পালন করছিলেন। তিরাইল বাজারের মুরগীর খাবারের দোকানদার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ওষুধ ও খাবার কিনতেন তিনি। ৪৫ দিন বয়সী এক একটা মুরগী ৬থশ-৭থশ গ্রাম ওজন হয়েছিল। দিন পনের পরেই তিনি সেগুলো বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু তার আগেই মুরগীগুলো মরে গেলো। এতে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন খাদ্যের ডিলারের দোকানের বাঁকী কিভাবে পরিশোধ করবেন সে দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। এ ব্যাপারী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা উজ্জল কুমার কুন্ডু বলেন, রাণীক্ষেত রোগে খামারের মুরগীগুলো মারা গেছে। খামার মালিক রাণীক্ষেতের টিকার প্রথম ডোজ দিলেও দ্বিতীয় ডোজ দেননি। যার কারণে টিকা কোন কাজ করেনি। আর মাত্র শথ দেড়েক রোগী বেঁচে থাকতে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। যে কারণে আর কিছু করার সুযোগ ছিলো না।

আরপি/ এস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top