রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


কথার যাদুকর হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত:
২০ জুলাই ২০২১ ১৭:১৪

আপডেট:
২০ জুলাই ২০২১ ১৭:১৬

হুমায়ূন আহমেদ। ফাইল ছবি

নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অগুণতি পাঠক, ভক্তদের কাঁদিয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই কথার যাদুকর। শরীরে তার অস্তিত্ব না থাকলেও পাঠকের মনে তিনি চিরস্থায়ী স্থান গড়ে ঠিকই বেঁচে আছেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে থাকছে সীমিত পরিসরে কিছু আয়োজন।

নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, আজ সকালে নুহাশপল্লীতে কুরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর হুমায়ূন আহমেদের মাজারে ফুল দেওয়া হবে। প্রতিবছর এতিম বাচ্চাদের খাওয়ানোর যে আয়োজন হয় তা এ বছর হচ্ছে না। এই বাবদ যে টাকা খরচ হয় তা এবার গরিব মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ঈদের আগেই সেই টাকা বিতরণ হবে।

এছাড়া সারাদেশে হুমায়ূন ভক্তদের গড়া বিভিন্ন সংগঠন দিনটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা গৃহিণী। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। জীবদ্দশায় তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী ও দর্শক-পাঠক নন্দিত সৃষ্টিকর্ম। নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি রেখে গেছেন নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর।

১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে জনপ্রিয়তার র্শীষে রয়েছে।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top