রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


দোকানের শার্টার বন্ধ, নক করলেই আসে গায়েবী আওয়াজ!


প্রকাশিত:
১১ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০২:১৯

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশ অঘোষিত লকডাউন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শায়েস্তাগঞ্জেও অঘোষিত লকডাউন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ, সেনাবাহিনীর টহলসহ নিরাপত্তা বেশ জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী।


হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বেশিরভাগ মুদি, ফ্লেক্সি-লোডের দোকান, সেলুন বাইরে থেকে দেখা যায় বন্ধ। কিন্তু ভিতরে লোকজন রয়েছেন।তাদের নির্দিষ্ট ক্রেতারা এসে দোকানের সাটারে নক করলেই অনেকটা গায়েবির মতোই আওয়াজ আসে, কে? কি লাগবে আপনার, এভাবেই লুকোচুরি করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

আবার কেউ কেউ দোকানের এক সাটার খোলা রেখেছেন। পুলিশের গাড়ি দেখলেই আবার সাটার বন্ধ করে ফেলছেন।শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শিল্পনগরী অলিপুরের মুদি ব্যবসায়ী সিপন মিয়া জানান, দেশের যে অবস্থা দুই টাকা বেচাকেনা না করলে খাব কিভাবে? আমাদের তো আর কেউ ত্রাণ দিবে না। তাই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দোকান খুলে কিছু বেচাকেনা করি।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী লিটন মিয়াকে দোকান বন্ধ করে ভিতরে কাস্টমারের চুল কেটে দিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ দোকানে অভিযান চালায়। ক্ষমা চেয়ে কোনোরকম রক্ষা পান ওই ব্যবসায়ী।

পৌর এলাকার হাসপাতাল সড়কেও একাধিক হোটেলে সাটার বন্ধ রেখে ভিতরে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। শুধু বন্ধ সাটারে নক করলেই হয়। তবে দেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াটা সব জনসাধারণের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম শিবলু বলেন, ব্যবসায়ীদের বারবার সচেতন করা হয়েছে। যাতে তারা আইন অমান্য না করে। তারপরও কিছু কিছু ব্যবসায়ী এ রকম করছেন।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজ্জামেল হক বলেন, আমরা প্রতিদিন ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করছি। আর টহল জোরদার করেছি। বিভিন্ন স্থানে অভিযানও করছি। তারপরও লোকজন আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি করলে টহল আরও বাড়ানো হবে।

 

আরপি/ এমবি

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top