রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ছেলের আকুতি না শুনে ফ্যানে ঝুললেন মা


প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:০১

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৫০

সংগৃহিত

শেরপুর পৌর শহরে ছেলের সামনে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে এক নারীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। দুই বছর আগে তার স্বামী দুর্ঘটনায় মারা যায়। এদিকে অসহায় হয়ে পড়েছে তাদের সন্তান নাফিস (১২) ও নাবিল (৮)।

ঘটনার পর খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌরশহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নাসরিন আক্তার নামে ৩২ বছর বয়সী ওই নারী পরিবহন শ্রমিক মৃত বাবুর স্ত্রী ছিলেন। নাসরিনের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এবং বাবার বাড়ি জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে।

নিহতের স্বজনরা জানান, ২০২০ সালে নাসরিনের স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর রোডের একটি বাসে চাকুরিরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর শেরপুর শহরের গৃর্দানারায়নপুরের একটি বাসায় দুই বছর ধরে দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নাসরিন। তার ১২ বছর বয়সী বড় ছেলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে। আর ৮ বছর বয়সী ছোট ছেলে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ে।

স্বজনদের দাবি, ছেলের সঙ্গে অভিমান করেই ঘরের দরজা বন্ধ করে ছেলেকে বাইরে রেখে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন নাসরিন।

বড় ছেলে নাফিস জানায়, ‘প্রতিদিন আমি বাইরে খেলতে গেলে মা বকাবকি করত। ঘটনার দিনও তাই হয়েছে। মা আমার সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলতে থাকে, আমি ফাঁস দিয়ে মরে যাবো। তখন আমি দরজায় ধাক্কা দিয়ে মায়ের কাছে মাফ চাই। বলি, আর কোনো দিন বাইরে যাবো না, মা। কিন্তু দরজা না খোলায় জানালার পাশে গিয়ে দেখি মা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে স্টিলের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে মা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ে।’

ঘটনার পর স্থানীয়রা শেরপুর সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি বসির আহমেদ বাদল জানান, নাসরিনের মরদেহ ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলে ছিল। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top