রাজশাহী বুধবার, ১৬ই অক্টোবর ২০২৪, ১লা কার্তিক ১৪৩১


অদ্ভুত প্রেমের সম্পর্ক দুই কিশোরীর


প্রকাশিত:
২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:২৪

আপডেট:
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:১১

ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, সেই সূত্র ধরেই অদ্ভুত প্রেমের সম্পর্ক দুই কিশোরীর। একজন আরেকজনের জন্য ঘরও ছেড়েছেন! এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে। নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইলে চলে এসেছেন বিলকিছ আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরী।

জানা গেছে, প্রেমের টানে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার ময়থা গাছপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর মেয়ে আঁখি আক্তারের (১৫) কাছে ছুটে আসা বিলকিছ নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব লক্ষিনারায়নপুর গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে।

স্থানীয়রা বলেন, প্রায় দুই বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় বিলকিছ ও আঁখির। সেই থেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে তারা এর আগেও একবার ঘর ছেড়েছিলেন। প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ওঠেন তারা।

এরপর সেখান থেকে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তারা সিরাজগঞ্জের চৌহালী যান। সেখানে স্থানীয়দের কাছে এই দুই কিশোরীর আচরণ সন্দেহজনক হলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পরিবারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।

সর্বশেষ গত রোববার সন্ধ্যায় বিলকিছ টাঙ্গাইল শহরে আসলে আঁখি স্কুল থেকে সেখানে গিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই রাতেই তাদের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাদের দেখতে দলে দলে লোকজন গিয়ে ওই বাড়িতে ভিড় জমান। এই দুই কিশোরী সংসার পাতার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আঁখির পরিবারও হতভম্ব।

আঁখির বাবা আজাহার আলী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিপদে আছি। নোয়াখালীর ওই মেয়েটিকে তার বাড়িতে চলে যেতে বলছি, সে যাচ্ছে না। সে কিছুতেও আঁখিকে ছাড়া যাবে না। পরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তারাও এখানে আসবে না বলে আমাকে জানায়। প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

ময়থা গাছপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী স্বপন বলেন, নোয়াখালীর ওই মেয়েটি রোববার সন্ধ্যায় এসেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুই কিশোরীর দাবি তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টসে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে। এ ক্ষেত্রে বিলকিছ আঁখিকে স্বামী হিসেবে জীবন সঙ্গী করবে বলেও জানায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আঁখি ও বিলকিছের ভাষ্য— ‘ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের তৈরি হয়। আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না। প্রয়োজনে আমরা বাড়ি ছেড়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে দুইজনে সংসার করবো।’

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নোয়াখালীতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির প্রকৃত অভিভাবকের খুঁজে পেলে তাদের হাতে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর তার পরিবার খুঁজে না পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বাসাইল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। নোয়াখালীর ওই মেয়েটির পরিবারকে তারা বিষয়টি জানিয়েছে।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top